কলকাতা টিভি ওয়েব ডেস্ক: ক্ষমতায় আসার আগে কংগ্রেসের বিরুদ্ধে নরেন্দ্র মোদি(Narendra Modi) যেসব অভিযোগ করতেন, ঠিক সেই সব অভিযোগেই নিত্যদিন বিদ্ধ হতে হচ্ছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে(PM Narendra Modi)। বিরোধী কণ্ঠস্বর রোধ করতে ইডি, সিবিআ্ই(CBI), আয়কর দফতরের(Income tax) মতো কেন্দ্রীয় সংস্থা গুলিকে ব্যবহার করার অভিযোগ উঠেছে মোদির বিরুদ্ধে। পশ্চিমবঙ্গসহ বিভিন্ন রাজ্যের রাজ্যপাল বিজেপির হাতের পুতুল হয়ে গিয়েছেন বলেও বিরোধীরা বার বার অভিযোগ করছেন।
যত দিন যাচ্ছে ততই নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলির অভিযোগের বহর বাড়ছে, বাড়ছে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষের ক্ষোভও।সাম্প্রতিক বিভিন্ন নির্বাচনের ফলাফলও প্রমাণ করছে মোদির জনপ্রিয়তায় এখন ভাটার টান। পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভার ভোটের ফলাফল টাটকা উদাহরণ।
এই প্রসঙ্গেই এক বার দেখে নেওয়া যাক, ২০১৪ সালে ক্ষমতায় আসার আগে কী কী বলেছিলেন নরেন্দ্র মোদি কংগ্রেসের নেতৃত্বাধীন ইউপিএ সরকারের বিরুদ্ধে।
আরও পড়ুন KMC Election 2021: নির্বাচন কমিশনে দফায় দফায় বিক্ষোভ বাম, কংগ্রেসের
ওই বছরের ৮ ফেব্রুয়ারি চেন্নাইয়ে এক সভায় মোদি কংগ্রেসের বিরুদ্ধে চরম আক্রমণাত্বক ভাষণ দিয়েছিলেন। তখন মোদির অভিযোগ ছিল, কংগ্রেস জমানায় সমস্ত প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংসের পথে নিয়ে গিয়েছিল। রাজভবনগুলিকে কংগ্রেস ভবনে পরিণত করা হয়েছিল। নির্বাচিত সরকারগুলি বিল পাস করলেও রাজ্যপালরা তাতে সম্মতি দিতেন না। ওই সভায় মোদি আরও বলেছিলেন, আয়কর দফতরের অপব্যবহার করা হয়েছিল। গুজরাতে যেই বিনিয়োগকারীরা আসতে শুরু করলেন, তখনই তাঁদের আয়কর দফতরের নোটিস দেওয়া হল। এমনকী বিভিন্ন কমিশনকেও রাজনৈতিক স্বার্থেও ব্যবহার করছে কংগ্রেস।ভোট পাওয়ার জন্য সিবিআইকে কাজে লাগানো হয়েছে,তাদের ব্যবহার করা হয়েছে সরকার ভাঙাগড়ার খেলায়।
ছেন্নাইয়ের ওই সভায় নরেন্দ্র মোদি আরও অভিযোগ করেছিলেন, দেশের যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোকে শেষ করে দিয়েছিল কংগ্রেস।তাঁর কথায় , ‘কারা দেশের মানুশকে বোকা বানাচ্ছে। মানুষ সব জানে বোঝে। জনগন আর এসব বরদাস্ত করবে না। তিনি কংগ্রেসের বিরুদ্ধে দেশের অর্থনীতিকেও ধ্বংস করার অভিযোগ এনেছিলেন।
আরও পড়ুন Jammu & Kashmir: জম্মু কাশ্মীরে বাড়ছে আরও সাত বিধানসভা কেন্দ্র
দুই দফার প্রধানমন্ত্রিত্বে নরেন্দ্র মোদি এখন তাঁর নিজের আনা অভিযোগেই বিদ্ধ হচ্ছেন। বিরোধী কণ্ঠস্বর রোধ করার জন্য বিরোধী রাজনৈতিক নেতাদের পিছনে লেলিয়ে দেওয়া হচ্ছে ইডি,সিবিআই,আয়কর দফতরকে।মোদি জমানায় কংগ্রেস আমলের মতো রাজভবনগুলি বিজেপি ভবনে পরিণত হয়ে গিয়েছে। পশ্চিমবঙ্গে রাজ্যপাল জগদ্বীপ ধনখড় একেবারে বিজেপির সক্রিয় নেতার মতো কাজ করছেন বলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের অভিযোগ। তৃণমূল সরকারের সঙ্গে রাজ্যপালের সংঘাত নিত্যনৈমিত্তিক ব্যপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। বামশাসিত কেরলেও সরকারের সঙ্গে রাজ্যপালের সংঘাত লেগে রয়েছে।একইসঙ্গে নোটবন্দি এবং অন্যান্য নীতির ফলে দেশের আর্থিক অবস্থা তলানিতে ঠেকেছে বলেও অভিযোগ।