কলকাতা টিভি ওয়েব ডেস্ক: মুসলিম মহিলাদের যৌন কাজে ব্যবহার করা হয়। স্বঘোষিত ধর্ম গুরু ইয়াতি নরসিংহনাদের এই মন্তব্যে নয়া বিতর্ক। মুসলিম সম্প্রদায়-সহ সমাজের একাংশের মানুষ ধর্মগুরুর মন্তব্যের নিন্দা করেছেন।
ধর্মগুরুর ওই মন্তব্যের ভিডিয়ো ভাইরাল হয়েছে। যার সত্যতা যাচাই করেনি কলকাতা টিভি ডিজিটাল। সেই ভাইরাল ভিডিয়োতে নরসিংহনাদকে বলতে দেখা যাচ্ছে যে, হিন্দি ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি বাদে, মুসলমানরা ভারতীয় জনতা পার্টি এবং হিন্দু (টিভিএ) গ্রুপ রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ (আরএসএস) সহ সমস্ত সেক্টর দখল করেছে।
মুসলিম মহিলাদের প্রসঙ্গে তাঁর দাবি, মহিলারা ইসলাম সম্প্রদায়ের প্রধান শক্তি। কারণ ইসলামের শক্তি ছড়িয়ে দিতে মহিলাদের যৌন বস্তু হিসাবে ব্যবহার করা হচ্ছে। নরসিংহনাদের কথায়, ইসলামের সেবায় মুসলিমরা ঘরের মহিলাকে অন্য পুরুষের সঙ্গে শুতে পাঠায়।
এরপরেই তিনি বলেন, “এই কারণে আমি হিন্দু সম্প্রদায়ের তরুণ পুরোহিতদের পরামর্শ দিই। একজন সাধারণ হিন্দু একবার বিয়ে করলে, একজন ধর্মীয় হিন্দু পুরোহিতের অন্তত দুবার বিয়ে করা উচিত। তারপর তাঁদের উচিত যতটা সম্ভব সন্তানের জন্ম দেওয়া। যাতে বিশুধা ডিএনএ (সবচেয়ে বিশুদ্ধ ডিএনএ) বহুদূরে ছড়িয়ে যেতে পারে।”
বুল্লি বাই অ্যাপ বিতর্কিতের মাঝেই ধর্মগুরুর মন্তব্য সেই বিতর্কে আরও জোরাল করেছে। ইতিমধ্যে কেন্দ্রীয় সরকার বুলি বাই অ্যাপ শেয়ারের অভিযোগে ২১ বছরের যুবককে গ্রেফতার করা হয়েছে।
আরও পড়ুন-মুসলিম মহিলাদের ছবি ব্যবহার করে চলত নিলাম, বন্ধ হল বিতর্কিত অ্যাপ
‘বুল্লি বাই’ অ্যাপটিকে ইতিমধ্যেই ব্লক করা হয়েছে। মুম্বই সাইবার পুলিস উক্ত অ্যাপে থাকা বিষয়বস্তুর ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু করেছে। দিল্লির পুলিসও সাংবাদিক ইসমত আরার দায়ের করা এফআইআরের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছে।’
এক বছরেরও কম সময়ের মধ্যে দ্বিতীয় বারের জন্য এই ধরনের এক বিতর্কিত অ্যাপের নাম সামনে আসল। গত বছরের ৪ জুলাই ‘সুল্লি ডিলস’ নামে একটি অ্যাপ মাথা চাড়া দিয়ে ওঠে। যে অ্যাপে মুসলিম মহিলাদের অজান্তেই তাঁদের ছবি ব্যবহার করে। ওই ‘দিনের চুক্তি’ বলে প্রতিদিন নতুন নতুন মহিলার নাম ও ছবি আপলোড করা হত। বিষয়টি জানাজানি হতেই অবশ্য অভিযুক্ত অ্যাপটি বন্ধ করে দেয় কেন্দ্র।
আরও পড়ুন- Safdar Hashmi: দেশকে ‘হল্লা বোল’ বলতে শিখিয়েছেন, পথনাটিকার মধ্যেই মৃত্যু সেই সফদর হাশমির
৬ মাসের মধ্যেই আবার এরকমই এক অ্যাপের নাম সামনে আসে। যেখানেও একই ভাবে মহিলাদের অবমাননা করে ভার্চুয়াল ডিল তৈরি করা হয়। এই অ্যাপে প্রকৃত অর্থে কোনও নিলাম হয়নি ঠিকই, কিন্তু, ওই অ্যাপটির মাধ্যমে মহিলাদের হেনস্থা করা হয়।