ওয়েব ডেস্ক: প্রায় তিন দশক আগে বাংলাদেশ (Bangladesh) থেকে ভারতে অনুপ্রবেশ (Infiltration)। তখন বয়স মাত্র ১০ বছর। ভারতে (India) এসে নাম পাল্টে বাংলাদেশি আব্দুল (Abdul) বছরের পর বছর নেহা নামের রূপান্তরকামীর পরিচয়ে বসবাস করছিলেন মহারাষ্ট্র থেকে মধ্যপ্রদেশ- একাধিক রাজ্যে। ভুয়ো নথির ভিত্তিতেই করতেন বাংলাদেশে যাতায়াত। কিন্তু আব্দুলের এই ছদ্মবেশ আর বেশিদিন স্থায়ী হল না। ভোপাল পুলিশের জালে ধরা পড়লেন বছর চল্লিশের এক বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী, যিনি দীর্ঘদিন ধরে ‘নেহা’ (Neha) নামে রূপান্তরকামী হিসেবে ঘুরে বেড়াচ্ছিলেন ভারতের এখানে সেখানে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিযুক্তের আসল নাম আব্দুল। ছোট বয়সেই তিনি অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশ করেন এবং মুম্বইয়ে থাকতে শুরু করেন। প্রায় দুই দশক মুম্বইয়ে কাটানোর পর চলে আসেন মধ্যপ্রদেশের রাজধানী ভোপালে। এখানেই নতুন পরিচয়ে আত্মপ্রকাশ করেন— নাম রাখেন ‘নেহা’, এবং রূপান্তরকামী হিসেবে তৃতীয় লিঙ্গ সম্প্রদায়ের সঙ্গে যুক্ত হন।
আরও পড়ুন: এক মেয়ের সঙ্গে দুই ভাইয়ের বিয়ে! ‘এটাই রীতি’, দাবি নবদম্পতির
এদিকে বিগত কয়েকদিন ধরে বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের খোঁজে ভোপাল শহরে চলছিল বিশেষ অভিযান। সেই সময়েই আবদুল ওরফে নেহার পরিচয় নিয়ে সন্দেহ তৈরি হয় পুলিশের। তল্লাশি চালিয়ে উদ্ধার হয় একাধিক জাল নথিপত্র— আধার কার্ড, ভোটার কার্ড, এমনকি ভারতীয় পাসপোর্টও।
এউ ছদ্মবেশী বাংলাদেশির ক্ষেত্রে সবথেকে অবাক করার মতো বিষয় হল, ওই জাল পাসপোর্ট ব্যবহার করে একাধিকবার ভারত ও বাংলাদেশ যাতায়াত করেছেন আব্দুল। তদন্তকারীরা জানাচ্ছেন, অভিযুক্ত দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন এলাকায় ভাড়াবাড়িতে থেকেছেন, এবং বারবার বাসস্থান পরিবর্তন করায় তাঁর গতিবিধি নজরে আসেনি প্রশাসনের। আব্দুল কোনও আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদী চক্রের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন কিনা, সেই প্রশ্নের উত্তর খুঁজছে গোয়েন্দারা।
দেখুন আরও খবর: