কলকাতা টিভি ওয়েব ডেস্ক: বিজেপি জোট ছেড়েই কংগ্রেসের সঙ্গে বন্ধুত্ব গাঢ় করতে নেমে পড়লেন জেডিইউ প্রধান নীতীশ কুমার। কংগ্রেসের ভারত জোড়ো যাত্রায় তিনি শামিল হতে চান বলে জানিয়েছেন। নীতীশ কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীকি বিহারে আসার জন্য আমন্ত্রণ করলেন। বিহারে ভারত জোড়ো যাত্রায় তিনি রাহুলের সঙ্গী হওয়ার ইচ্ছে প্রকাশ করেছেন। শুক্রবার জেডিইউ নেতা দিল্লি যাচ্ছেন। রাহুলের সঙ্গে বৈঠক করবেন তিনি। বৈঠকে বসতে পারেন কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধীর সঙ্গেও।
মঙ্গলবারই বিহারে নতুন রাজনৈতিক সমীকরণ হয়ে গেল। এনডিএ জোট ছেড়ে আরজেডি, কংগ্রেস এবং বামেদের সঙ্গে তিনি মহাগাঁট বন্ধনে আবদ্ধ হলেন। কংগ্রেস এবং আরজেডি বিহারে নতুন জোটের সরকারে শামিল হলেও বামেরা তাতে অংশ নিচ্ছে না। সিপিআই (এমএল), সিপিএম এবং সিপিআই বাইরে থেকে নতুন সরকারকে সমর্থন করবে বলে জানিয়েছে। সিপিআই (এমএল)-এর সাধারণ সম্পাদক দীপঙ্কর ভট্টাচার্য আগেই জানিয়েছেন, নীতীশ বিজেপির হাত ছাড়ায় তাঁরা খুশি। দেরিতে হলেও জেডিইউর এই সিদ্ধান্তকে তাঁরা স্বাগত জানাচ্ছেন। তবে এই সরকারকে তাঁরা বাইরে থেকে সমর্থন করবেন।
গত রবিবার নীতীশ কুমার ফোনে কথা বলেন কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধীর সঙ্গে। সূত্র্রের খবর, ওইদিনই ঠিক হয়, শুক্রবার দিল্লিতে নীতীশ কুমার সোনিয়ার সঙ্গে বৈঠক করবেন। লোকসভা ভোটের আর দুবছর বাকি। তার আগে নীতীশের এনডিএ জোট ছাড়া বিজেপির পক্ষে একটা বড় ধাক্কা। এখন বিজেপি জেডিইউর দুর্নীতি খুঁজতে ইডি, সিবআইকে কাজে লাগাবে বলে বিরোধীদের আশঙ্কা।
আরও পড়ুন: Nitish Kumar: তিরে বিদ্ধ পদ্ম জোট, বিহারে ফের লালু-নীতীশ?
কেন্দ্রীয় শক্তিমন্ত্রী তথা বিহারের বিজেপি নেতা আর কে সিং বলেন, নীতীশ কুমার বারবার বলতেন, আরজেডি ১৫ বছরের রাজত্বে বিহারকে অনেক পিছনে ঠেলে ফেলে দিয়েছিল। তিনি তেজস্বী যাদবকে দুর্নীতিপরায়ণ বলে কটাক্ষ করেছেন। সেই তেজস্বীর সঙ্গে নীতীশ জোট বাঁধেন কী করে। আসলে তাঁর লজ্জাশরমের বালাই নেই।