সিঙ্ঘু: ফের কৃষকের আত্মহত্যা৷ বুধবার সকালে সিঙ্ঘু সীমান্ত থেকে উদ্ধার হয় ওই কৃষকের ঝুলন্ত দেহ৷ কেন্দ্রের বিতর্কিত তিনটি কৃষি আইন বাতিলের দাবিতে এখানেই প্রায় এক বছর ধরে প্রতিবাদ জানাচ্ছেন দেশের অন্নদাতারা৷ এদিন সাত সকালে কৃষকের আত্মহত্যার খবরে তাই চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে প্রতিবাদীদের মধ্যে৷ পরে পুলিশ এসে মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠায়৷
পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম গুরপ্রীত সিং৷ পঞ্জাবের ফতেহগড় সাহিবের বাসিন্দা৷ অন্যান্য কৃষকদের মত তিনিও কৃষি আইন বাতিলের পক্ষেই আন্দোলনে নেমেছিলেন৷ সামিল হয়েছিলেন কৃষকদের প্রতিবাদে৷ তবে কেন তিনি আত্মহত্যা করলেন তা স্পষ্ট নয়৷ পুলিশও মৃত্যু নিয়ে মুখ খুলতে চায়নি৷
আরও পড়ুন: হস্টেলের ঘরে আত্মঘাতী মেডিক্যাল ছাত্রী, উদ্ধার সুইসাইড নোট
তবে গুরপ্রীতের আত্মহত্যার জন্য কেন্দ্রের দিকেই আঙুল তুলেছেন প্রতিবাদী কৃষকরা৷ তাঁরা জানিয়েছেন, গত সোমবার গ্রাম থেকে ফিরে আবার সিঙ্ঘু সীমান্তে বিক্ষোভে যোগ দিয়েছিলেন গুরপ্রীত৷ তবে এবার তিনি বেশ হতাশ ছিলেন৷ দীর্ঘ আন্দোলনের পরেও কেন্দ্র কৃষি আইন প্রত্যাহার না করায় তিনি হতাশায় ভুগছিলেন৷
আরও পড়ুন: পদ্মশ্রীর মঞ্চে খালি পায়ে এক প্রকৃতি-মা, কেড়ে নিলেন সব ফ্ল্যাশলাইট
গত বছর নভেম্বর থেকে শুরু হওয়া এই আন্দোলনে মারা গিয়েছেন বহু কৃষক৷ তবুও তাদের আন্দোলন থেমে থাকেনি৷ কৃষকদের দাবি, তিনটি আইন তাঁদের স্বার্থ বিরোধী৷ এতে কৃষি বাজার পুরোপুরি কর্পোরেটদের নিয়ন্ত্রণে চলে যাবে৷ অপরদিকে সরকারের দাবি, কৃষকদের স্বার্থে এই আইন আনা হয়েছে৷ আন্দোলনের পথ থেকে তাঁদের সরিয়ে আনতে সরকার ১১ বার বৈঠক করে৷ কিন্তু কৃষকরা তাদের দাবিতে অনড় থাকে৷
কিছুদিন আগে সিঙ্ঘু সীমান্তে ব্যারিকেডের সঙ্গে হাত-পা বাধা অবস্থায় এক দলিত যুবকের মৃতদেহ উদ্ধারের ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায়৷ পরে জানা যায়, দৈবের অবমাননা করায় তাঁকে শাস্তি দিয়েছিল নিজেদের শিখ যোদ্ধা বলে দাবি করা নিহাঙ্গ সম্প্রদায়৷ পরে খুনের কথা স্বীকার করে পুলিশে আত্মসমর্পণ করে এক নিহাঙ্গ৷ এছাড়া গ্রেফতার হন আরও অনেকে৷