ভুবনেশ্বর: আর মাত্র কদিনের অপেক্ষা। আগামী ২০ জুন পালিত হবে রথযাত্রা (Rath Yatra)। যাকে কেন্দ্র করে এখন থেকেই সাজো সাজো রব পুরীর (Puri) জগন্নাথ ধামে (Jagannath Dham)। চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি। ইতিমধ্যেই স্নানযাত্রার পর নিভৃতবাসে চলে গিয়েছেন ভগবান জগন্নাথ, বলরাম এবং সুভদ্রা। তাঁদের জন্য রথ নির্মাণের কাজ চলছে। আর এই রথযাত্রা উপলক্ষে দেশের নানা প্রান্ত থেকে ভক্তরা বাঁধভাঙা আবেগ নিয়ে পুরীর জগন্নাথ ধামে হাজির হন। তাঁদের নিরাপত্তা এবং সুরক্ষার জন্য সর্বদা তৎপর থাকে ওড়িশা প্রশাসন। এ বারও একগুচ্ছ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে প্রশাসনের তরফে।
এ বছর আগামী ২০ জুন পুরীর জগন্নাথধামে পালিত হবে রথযাত্রা। মহা উৎসেবর দিন যাতে কোনও প্রকারের অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে, তা নিশ্চিত করতে একগুচ্ছ পরিকল্পনা পুরী পুলিশের। ইতিমধ্যেই নিরাপত্তার ঘেরাটোপে মুড়ে ফেলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে শ্রীমন্দির, গুণ্ডিচা মন্দির চত্বরে। ভগবান জগন্নাথ, বলরাম এবং দেবী সুভদ্রার মাসির বাড়ি যাত্রাপথে আঁটসাঁট থাকবে নিরাপত্তা ব্যবস্থা। পুরী পুলিশের ১৮০ কোম্পানি ফোর্স মোতায়েন করা হবে এই রথযাত্রা উৎসবের দিন। এ ছাড়াও জগন্নাথ মন্দির চত্বরে থাকবে ব়্যাপিড অ্যাকশন ফোর্স।
আইজি সেন্ট্রাল রেঞ্জ আশিস কুমার সিংয়ের নেতৃত্বে সমস্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা খতিয়ে দেখতে ইতিমধ্যেই মহড়া শুরু করে দিয়েছে র্যাফ। জগন্নাথ মন্দিরের সিংহ দুয়ারের সামনে মক ড্রিল করছে র্যাফ বাহিনী। এদিকে, জগন্নাথধামকে সুরক্ষিত রাখতে ড্রোনের ব্যবহারের উপর জোরদার নজরদারি চালানো হবে বলে জানিয়েছে পুরী পুলিশ। আগামী ২০ জুন অর্থাৎ রথযাত্রার দিন থেকে ১ জুলাই উলটোরথ কিংবা নীলাদ্রী বিজে রীতি পালন পর্যন্ত জগন্নাথ মন্দিরের উপর ড্রোন ওড়ানোর উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। ড্রোন ওড়ানো যাবে না গুণ্ডিচা মন্দিরের উপর দিয়েও। এই নিষেধাজ্ঞা জারি থাকবে বড়দণ্ড এবং গ্র্যান্ড রোডের ক্ষেত্রেও।
এই প্রসঙ্গে পুরীর এসপি কানওয়ার বিশাল সিং জানান, ‘শান্তিপূর্ণ এবং সুষ্ঠুভাবে সকল ভক্ত যাতে রথের দড়ি টানার সুযোগ পান তার জন্য বন্দোবস্ত করা হচ্ছে। কোনওভাবেই যাতে হুড়োহুড়ি কিংবা পদপিষ্ঠ হওয়ার পরিস্থিতি তৈরি হয় তার জন্য আমরা অ্যালার্ট থাকছি। অতিরিক্ত বাহিনী মোতায়েন করা হচ্ছে জগন্নাথের শ্রী মন্দির, গুণ্ডিচা মন্দির এবং রথের যাত্রাপথে।’