নয়াদিল্লি- দিল্লির রোহিণী(Delhi Rohini Court) কোর্টে বিস্ফোরণের (Rohini Court Explosion) ঘটনায় গ্রেফতার ডিআরডিও–র(DRDO) এক বিজ্ঞানী। দিল্লি পুলিসের স্পেশ্যাল সেল ওই বিজ্ঞানীকে গ্রেফতার করে। সূত্রের খবর,বোমা বিস্ফোরণ ঘটিয়ে রোহিণী আদালতে এক আইনজীবীকে খুন করতে চেয়েছিলেন। ওই আইনজীবীর সঙ্গে বিজ্ঞানীর পুরনো শত্রুতা ছিল। সেই কারণেই রোহিণী আদালতের ১০২ নম্বর ঘরে বোমা রেখে দিয়েছিলেন। একটি ল্যাপটপ ব্যাগের মধ্যে টিফিনবক্সে বোমাটি রাখা ছিল। ওই বিস্ফোরণে গুরুতর জখম হন এক ব্যক্তি।
সিসিটিভির ফুটেজ দেখে ডিআরডিওর ওই বিজ্ঞানীকে চিহ্নিত করে দিল্লি পুলিসের স্পেশ্যাল সেল। তারপরই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। বিস্ফোরণের ঘটনাটি ঘটে ৯ ডিসেম্বর। বিকট শব্দে কোর্টরুম কেপে ওঠে। আতঙ্কে হুড়োহুড়ি পড়ে যায়। কোর্টরুমে আগুন লাগে। দমকলের ৬ টি ইঞ্জিন পরিস্থিতি আয়ত্তে আনে। পুলিস পরে ১০২ নম্বর ঘর থেকে পোড়া ল্যাপটপের ব্যাগটি উদ্ধার করে।
এর আগেও রোহিণী কোর্টে গুলি চালানোর ঘটনা ঘটে গত ২৪ সেপ্টেম্বর। এজলাসে ঢুকে এলোপাথাড়ি গুলি চালায় দুষ্কৃতীরা। সেই সময় একটি মামলার শুনানি চলছিল। আইনজীবীর পোশাক পরা এক ব্যক্তি বেপরোয়া গুলি চালায়। গুলিতে মৃত্যু হয় ২ জনের। নিরাপত্তা বাহিনীর পাল্টা গুলিতে মারা যায় ওই আততায়ী। গ্যাংস্টার জিতেন্দ্র গোগিকে হত্যা করাই ছিল দুষ্কৃতীদের মূল লক্ষ্য।
আরও পড়ুন Rohini Court Explosion: দিল্লির রোহিণী কোর্টে বিকট শব্দে ফের বিস্ফোরণ, জখম ১
গোগি তখন অন্য এক অপরাধের ঘটনায় জেলে ছিল। এর আগে হরিয়ানার পানিপথে গোগিকে খুন করার চক্রান্ত হয়েছিল। কিন্তু তা ব্যর্থ হয়ে যায়। কিন্তু দুষ্কৃতীরা পরে জানতে পারে গোগিকে পেশ করা হবে। সেটা জানার পরই গোগির পালটা গোষ্ঠী রোহিণী আদালতেই তাকে খুন করার পরিকল্পনা করে। এই ঘটনায় মূল অভিযুক্ত সুনীল মান একসময় গোগির ঘনিষ্ঠ ছিল। তাজপুরিয়া গ্যাংয়ের অন্যতম সদস্য মান একটি খুনের মামলায় গোগির সঙ্গেই গ্রেফতার হয়েছিল।
আরও পড়ুন রোহিণী কোর্টে শুটআউটের ঘটনায় গ্রেফতার দুই