বেঙ্গালুরু: ইস্তফা নয়, পদত্যাগ করতে হবে ঈশ্বরাপ্পাকে৷ ঠিকাদারের মৃত্যুতে কর্নাটকের মন্ত্রীর নাম জড়িয়ে যাওয়ায় হইচই শুরু হয়েছে রাজ্যে৷ মন্ত্রী ঈশ্বরাপ্পার গ্রেফতারের দাবি তুলেছে কংগ্রেস৷ একই দাবি নিহত ঠিকাদারের পরিবারের৷ সন্তোষের ভাই প্রশান্ত পাতিল বলেন, ‘আমরা ঈশ্বরাপ্পার পদত্যাগের দাবি তুলিনি৷ আমরা গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছিলাম৷’ এ দিকে ঠিকাদারের মৃত্যুতে তুঙ্গে উঠেছে কংগ্রেস-বিজেপি কাজিয়া৷ রাজ্যের কংগ্রেস নেতা ডিকে শিবকুমারের দাবি, সন্তোষ পাতিল বিজেপি কর্মী ছিলেন৷ অন্যদিকে ঠিকাদারের মৃত্যুর জন্য কংগ্রেসকেই দায়ী করলেন কর্নাটকের বিজেপি সভাপতি নলিন কুমার কাতিল৷ তাঁর কথায়, ‘তদন্ত শুরু হবে৷ এবার সত্যিটা প্রকাশ্যে আসবে৷’
এ দিকে ঘরে-বাইরে প্রবল চাপে শেষপর্যন্ত মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ করতে চলেছেন ঈশ্বরাপ্পা৷ আজ শুক্রবার তিনি মুখ্যমন্ত্রী বাসবরাজ বোম্মাইয়ের কাছে পদত্যাগপত্র পাঠাবেন৷ তদন্ত শেষে তাঁকে পুনরায় মন্ত্রী পদে ফিরিয়ে আনা হবে বলে জানিয়ে দেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিএস ইয়েদুরাপ্পা৷ ঈশ্বরাপ্পার পাশে দাঁড়িয়ে ইয়েদুরাপ্পা বলেন, ‘তিনি কোনও অন্যায় করেননি৷ আগামী দু-তিনমাস তদন্ত চলবে৷ দোষী সাব্যস্ত না হলে ঈশ্বরাপ্পাকে মন্ত্রিসভায় ফিরিয়ে আনা হবে৷’
যদিও ঈশ্বরাপ্পার গ্রেফতারের দাবিতে এবার সুর চড়িয়েছে কংগ্রেস৷ দলের নেতা শিবকুমার জানিয়েছেন, এটা প্রত্যেক কন্নড়ভাষীর লড়াই, যাঁরা বিজেপির দুর্নীতির আগুনে জ্বলছেন৷ ঈশ্বরাপ্পা গ্রেফতার না হওয়া পর্যন্ত লড়াই চলবে বলে হুঁশিয়ারি দেন শিবকুমার৷ তিনি বলেন, ‘সন্তোষ পাতিল বিজেপি কর্মী ছিলেন৷ প্রধানমন্ত্রী যদি আগেই ব্যবস্থা নিতেন তাহলে সন্তোষকে আত্মহত্যা করতে হত না৷ মন্ত্রীর বিরুদ্ধে এফআইআর হয়েছে৷ কিন্তু দুর্নীতিরোধ আইনে কেন মামলা দায়ের হল না? এফআইআরে স্পষ্ট লেখা আছে, ঈশ্বরাপ্পা ৪০ শতাংশ কমিশন চেয়েছিলেন৷ তদন্ত শুরুর আগেই মুখ্যমন্ত্রী বলে দিয়েছেন কিছুই হয়নি৷ বিজেপি রাজ্যটাকে দুর্নীতির রাজধানী বানিয়ে ছেড়েছে৷ মুখ্যমন্ত্রী ঈশ্বরাপ্পাকে আড়াল করতে চাইছেন৷’
পাল্টা তোপ দেগেছে বিজেপি৷ দলের নেতা নলিনকুমার কাতিলের দাবি, সন্তোষের মৃত্যুর পর কোনও সুইসাইড নোট পাওয়া যায়নি৷ একটি হোয়াটসঅ্যাপ মেসেজ ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে৷ সন্তোষের মৃত্যুর নেপথ্যে কংগ্রেস জড়িত৷ তদন্তে সেটা প্রমাণিত হবে৷
