নয়াদিল্লি: ভারতীয় সেনার সর্বাধিনায়ক জেনারেল বিপিন রাওয়াতের (Chief of Defence Staff Bipin Rawat) ব্যক্তিগত দেহরক্ষী, হাবিলদার সৎপাল রাইয়ের (Satpal Rai) শেষকৃত্য নিয়ে চরম অনিশ্চয়তা দেখা দিল। ডিএনএ টেস্টের নমুনা(DNA test report) ম্যাচ না-করায়, শেষ মুহূর্তে সৎপালের পরিবারের হাতে দেহ তুলে দেওয়া যায়নি। ঠিক ছিল, শনিবার সকাল সওয়া ১০টার বিমানে দিল্লি থেকে বাগডোগরা বিমানবন্দরে পৌঁছবে নিহত সেনাকর্মীর মরদেহ। সেখান থেকে দার্জিলিঙের তাকদার বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হবে। রবিবার সামরিক মর্যাদায় শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে। ভারতীয় সেনার তরফে সেই মতো প্রস্তুতি সেরেও রাখা হয়েছিল। কিন্তু ডিএনএ রিপোর্ট ম্যাচ না করায় কবে সৎপালের মরদেহ পরিবার হাতে পাবে, তা আপাতত অনিশ্চিতই। শনিবার ভারতীয় সেনার তরফে আশ্বস্ত করা হয়েছে, তারা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে দেহ শনাক্তকরণের।
এদিন সকালে ভারতীয় সেনার তরফে বিবৃতি প্রকাশ করে জানানো হয়, গত কয়েক ঘণ্টায় পাঁচ জনের দেহ তারা শনাক্ত করতে পেরেছে। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন বায়ুসেনার উইং কম্যান্ডার পিএস চৌহান, জেডব্লিউও রাণাপ্রতাপ দাস, জেডব্লিউও প্রদীপ, ল্যান্স নায়েক বি সাই তেজা ও ল্যান্স নায়েক বিবেক কুমার। শনাক্তকরণের তালিকায় সৎপাল রাইয়ের নাম না থাকায়, তাঁর পরিবার উদ্বিগ্ন হয়ে পড়ে। সেনার তরফে পরিবারকে আশ্বস্ত করা হয়, ডিএনএ রিপোর্ট ম্যাচ না করার কারণেই তারা এদিন মরদেহ তুলে দিতে পারলেন না। তবে আশাবাদী, খুব দ্রুত সৎপাল রাইয়ের মরদেহ স্বজনদের হাতে তুলে দিতে পারবেন।
আরও পড়ুন: Coonoor helicopter mishap: কুন্নুর চপার দুর্ঘটনায় মৃত আরও ৫ সেনা অফিসারের দেহ শনাক্ত
সেনার এক বরিষ্ঠ আধিকারিকের কথা অনুযায়ী, শনিবার সকালেই নিহত পাঁচ অফিসারের মরদেহ ঘনিষ্ঠ স্বজনদের হাতে হস্তান্তর করা হয়েছে। এর পরই দিল্লি থেকে সেনা হেলিকপ্টারে করে নিহতদের মরদেহ তাঁদের নিজস্ব হোম টাউনে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। সেখানে যথাযথ সামরিক মর্যাদায় তাঁদের শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে।
ডিএনএ পরীক্ষার জন্য শুক্রবারই লেবং সেনা ছাউনি থেকে বিশেষজ্ঞ পাঠিয়ে সৎপাল রাইয়ের ছেলের রক্তের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছিল। পরিবার আশায় ছিল, শনিবার সকালেই তারা সৎপালের মরদেহ হাতে পাবে। কিন্তু বিধি বাম। শেষ মুহূর্তে ছেলের রক্তের নমুনার সঙ্গে ডিএনএ রিপোর্ট ম্যাচ না করায়, সেনার তরফে মরদেহ তুলে দেওয়া যায়নি।
বুধবার তামিলনাড়ুর কুন্নুরের কাছে নীলগিরি চা-বাগানে সেনা চপার ভেঙে সিডিএস জেনারেল বিপিন রাওয়াত-সহ ১৩ জনের মৃত্যু হয়। মৃতদের মধ্যে ছিলেন দার্জিলিঙের বাসিন্দা, ভারতীয় সেনার হাবিলদার সৎপাল রাই।