কলকাতা টিভি ওয়েব ডেস্ক: হাওয়ালার লেনদেনে জড়িত থাকার একটি মামলায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের জালে দিল্লির স্বাস্থ্যমন্ত্রী সত্যেন্দ্র জৈন। কেজরিওয়ালের এই মন্ত্রীর বিরুদ্ধে কলকাতার এক কোম্পানির সঙ্গে হাওয়ালার মাধ্যমে অর্থিক লেনদেনের অভিযোগ সামনে এসেছে। আম আদমি পার্টির কোনও মন্ত্রী গ্রেফতার হওয়ায় স্বাভাবিক ভাবেই রাজনৈতিক চাপানউতোর শুরু হয়েছে।
যদিও দিল্লির উপমুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়ার অভিযোগ, একটি ভুয়ো মামলায় গত ৮ বছর ধরে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সত্যেন্দ্র জৈনকে হেনস্তা করছে। বহু বার তাঁকে তলব করা হয়েছে। তিনি হাজিরাও দিয়েছেন। কিন্তু ইডি সন্দেহজনক কিছুই পায়নি। বর্তমানে তিনি হিমাচলপ্রদেশের ভোটে আম আদমি পার্টির দায়িত্ব পেতেই তাঁকে রাজনৈতিক উদ্দেশে গ্রেফতার করা হয়েছে। মণীশের দাবি, এই মামলার ভিত্তি নেই। মামলাটি আদতে ধোপে টিকবে না। কিছুদিনের মধ্যেই ছাড়া পেয়ে যাবেন তিনি।
A fake case is being run against Satyendar Jain for 8yrs. ED called many times before & stopped for many yrs in between as they couldn't find anything. Now it's started again as he's HP's poll in-charge… He'll be released in few days as case is bogus: Delhi Dy CM Manish Sisodia pic.twitter.com/1Ny3nn8293
— ANI (@ANI) May 30, 2022
গত মাসেই ইডি জানিয়েছিল এই আর্থিক নয়ছয়ের মামলায় জৈন পরিবার ও কোম্পানির প্রায় ৪.৮১ কোটির সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে । এই মামলায় ২০১৮ সালেও সত্যেন্দ্র জৈনকে জেরা করা হয়েছিল। দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল জানিয়েছিলেন, গোয়েন্দা রিপোর্টে পঞ্জাব ভোটের আগে সত্যেন্দ্রকে গ্রেফতার করা হবে। তবে, পঞ্জাব ভোটের আগে নয়। আপ পঞ্জাব দখলের পরেই গ্রেফতার করা হল কেজরিওয়ালের ক্যাবিনেটের এই হেভিওয়েট মন্ত্রীকে। আপের এক শীর্ষ নেতা বলেন, এভাবেই বিজেপির নির্দেশে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলি বিরোধী নেতাদের হেনস্তা করে চলেছে।
আরও পড়ুন- Sidhu Moose Wala: সিধু মুসেওয়ালা খুনে উত্তরাখণ্ড থেকে আটক ৬