নয়াদিল্লি: বাদল অধিবেশনের শুরুর দিন থেকে উত্তপ্ত হয়েছে কেন্দ্রীয় আইনসভা। সংসদের দুই কক্ষে নিত্যদিন বিক্ষোভ দেখিয়েছেন বিরোধীরা। নানাবিধ ইস্যু নিয়ে আক্রমণ করা হয়েছে সরকারকে। দীর্ঘ সময় মুলতুবি করে দেওয়া হয়েছে সংসদ। পালটা জবাব দিয়েছে সরকার। সংসদের এই বিশৃঙ্খল অবস্থা দেখে মুখ খুলেছেন এনসিপি নেতা শরদ পাওয়ার।
আরও পড়ুন- ভারত-পাক দ্বন্দ্বে সামিল হবে না তাঁরা, স্পষ্ট জানালেন তালিবান মুখপাত্র
কংগ্রেস থেকে বেড়িয়ে এসে পৃথক রাজনৈতিক দল খুলেছেন শরদ পাওয়ার। এই মুহূর্তে বিজেপি বিরোধিতায় অগ্রণী ভূমিকা নিচ্ছেন। একাধিক অবিজেপি দল তাঁকে আগামী রাষ্ট্রপতি করতে চাইছেন। এই অবস্থায় সংসদের মধ্যেকার তাণ্ডব নিয়ে মুখ খলেছেন এনসিপি প্রধান। সরকারক আক্রমণ করে বলেছেন, “আমার ৫৫ বছরের সাংসদ জীবনে সংসদে এমন তাণ্ডব দেখিনি।”
আরও পড়ুন- হিমাচলপ্রদেশের ধসে মৃতদের পরিবারকে আর্থিক সাহায্য ঘোষণা কেন্দ্রের
সংসদের ভিতরে ঢুকে বহিরাগতরা তাণ্ডব করেছেন বুলে দাবি করেছেন শরদ পাওয়ার। শুধু তাই নয়, মহিলা সাংসদদের উপরে হামলা চালানো হয়েছে বলেও দাবি করেছেন তিনি। তাঁর কথায়, “৪০ জনেরও বেশি লোককে বাইরে থেকে সংসদ ভবনে নিয়ে আসা হয়েছিল। মহিলা সাংসদদের উপরে হামলা হল। এটা খুবই দুঃখজনক। গণতন্ত্রের উপরে আঘাত। আমার ৫৫ বছরের সাংসদ জীবনে এমন ঘটনা দেখিনি।”
আরও পড়ুন- বিরোধিতা থাকলেও ব্যর্থ হয়নি সংসদের বাদল অধিবেশন
যদিও এই দাবি উড়িয়ে দিয়েছেন সংসদীয় বিষয়ক মন্ত্রী প্রহ্লাদ জোশী। তিনি বলেছেন, “বিরোধীরা সম্পূর্ণ মিথ্যা কথা বলছে। রাজ্যসভায় তাঁরা কী করেছেন সেই সিসিটিভি ফুটেজ প্রকাশ করার জন্য আমি চেয়ারম্যানকে অনুরোধ করব। সব সীমা ছাড়িয়ে বিরোধীরা হাতাহাতি করতে চাইছিল।” বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকারী সাংসদদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবিও তুলেছেন তিনি। বুধবার সংসদে প্রবেশের সময়ে মন্ত্রী প্রহ্লাদকে বাধা দেওয়া হয়েছিল বলে দাবি করেন অপর মন্ত্রী পীযুষ গোয়েল।
বিরোধীদের তাণ্ডবে সংসদের স্বাভাবিক কাজকর্ম ব্যাহত হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। যা নিয়ে অনেক বিতর্ক আছে। রাজ্যসভার জারি করা পরিসংখ্যান বলছে যথেষ্ট ফলপ্রসূ অধিবেশন হয়েছে এই বাদলের মরশুমে। এই অধিবেশনের সাফল্যের হার ২৮ শতাংশ। আরও বড় বিষয় হচ্ছে এই বাদল অধিবেশনের সাফল্যের গড় হার আগের পাঁচটি অধিবেশনের থেকে ৯৫ শতাংশ বেশি।
আরও পড়ুন- বিহারে উদ্ধার সাংবাদিকের পচাগলা দেহ, খুনের অভিযোগে গ্রেফতার দুই সাংবাদিক
রাজ্যসভার পক্ষ থেকে পেশ করা পরিসংখ্যান বলছে, বিভিন্ন সময়ে মুলতুবি হয়ে গেলেও মোট ১৭ বার আলোচনা হয়েছে সংসদের উচ্চকক্ষে। মোট ১০২ ঘণ্টা আলোচনা হয়েছে। যার মধ্যে ২৮ ঘণ্টা ২১ মিনিট কাজ হয়েছে, অর্থাৎ সুস্থ আলোচনার ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বাকি ৭৬ ঘণ্টা ২৬ মিনিট সময় নষ্ট হয়েছে বিরোধীদের তাণ্ডবের কারণে।