নয়াদিল্লি: পাঁচ রাজ্যে ভোটের ফল বেরোনোর পর থেকেই বেড়েই চলেছে জ্বালানির দাম। পেট্রোল, ডিজেলের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে রান্নার গ্যাস, বাণিজ্যিক সিলিন্ডারের দাম। এর প্রভাব পড়েছে তেল, চাল, ডাল সহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের উপর। এবার ভোজ্য তেলের দামও চড়চড়িয়ে বাড়তে পারে, এমনটাই আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা। বিশ্বের বৃহত্তম পাম তেল উৎপাদনকারী দেশ ইন্দোনেশিয়া ভারতে তেল রফতানি বন্ধ করেছে। এর ফলে দেশের বাজারে তেলের সংকট দেখা দিতে পারে।
২৮ এপ্রিল থেকে তেল রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে ইন্দোনেশিয়া। জোগানে ঘাটতি হলে এই তেল যে সব জিনিস তৈরিতে কাজে লাগে, তার খরচ দ্বিগুণ হওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। এর ফলে দাম বাড়তে পারে শ্যাম্পু, সাবান, কেক, বিস্কুট, চকোলেটের। ইন্দোনেশিয়ার রাষ্ট্রপতি জোকো উইডোডো পাম তেলের রফতানি বন্ধের বিষয়ে যুক্তিও দিয়েছেন। তাঁর বক্তব্য, দেশে খাদ্যপণ্য সরবরাহ নিশ্চিত করতেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। দেশের বাজারগুলিতে দাম নিয়ন্ত্রণে রাখাই মূল লক্ষ্য।
ভারত প্রতি বছর প্রায় ৮ মিলিয়ন টন পাম তেল আমদানি করে। যা মোট ব্যবহৃত ভোজ্য তেলের প্রায় ৪০ শতাংশ। পাম তেল খাদ্যপণ্য, ডিটারজেন্ট, প্রসাধনী এবং জৈব জ্বালানী তৈরিতে ব্যবহার হয়। সাবান, মার্জারিন, শ্যাম্পু, নুডলস, বিস্কুট এবং চকলেটের মতো দৈনন্দিন ব্যবহার্য সামগ্রী তৈরি অন্যতম উপাদান পাম তেল। ফলে ইন্দোনেশিয়া পাম তেল রফতানি বন্ধ করে দেওয়ায় বাড়তে পারে এই জিনিসগুলির দাম।
আরও পড়ুন: Bihar Bridge Collapsed: ঝড়বৃষ্টির পর বিহারে ভেঙে পড়ল ১৭১০ কোটি টাকায় তৈরি ব্রিজের একাংশ