শ্রীনগর: দক্ষিণ কাশ্মীরের অবন্তিপুরা জেলার ত্রালে নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে (Srinagar Encounter) নিকেশ ২ জঙ্গি। পুলিস জানিয়েছে, ওই দুই জঙ্গির একজন মুজাফফর সোফি ওরফে মুয়াভিয়া। সে আনসার গাজওয়াত-উল-হিন্দ-এর (Ansar Ghazwat-ul-Hind) সদস্য ছিল। অপরজন উমর তেলি ওরফে তালহা, লস্কর-ই-তইবা জঙ্গি গোষ্ঠীর (Lashkar-E-Taiba) সদস্য ছিল। দুই জঙ্গিই শ্রীনগর শহরে বেশ কয়েকটি অপরাধের সঙ্গে যুক্ত। সম্প্রতি শ্রীনগরের খানমোতে স্থানীয় সরপঞ্চ খুনের ঘটনাতেও তারা জড়িত ছিল।
কাশ্মীর পুলিসের আইজি বিজয় কুমার জানিয়েছেন, মঙ্গলবার রাতেই অবন্তিপুরার ত্রাল এলাকায় বেশ কয়েকজন জঙ্গি লুকিয়ে রয়েছে বলে খবর পাওয়া যায়। বুধবার খুব ভোরে পুলিস ও নিরাপত্তা বাহিনী ওই এলাকাটি ঘিরে ফেলে। শুরু হয় তল্লাশি অভিযান। তারপরই শুরু হয় গুলির লড়াই। পুলিস বাহিনীকে দেখেই গুলি চালাতে শুরু করে জঙ্গিরা। পালটা জবাব দেয় তারাও।
Both Umer Teli and Safat were local terrorists and operated in Srinagar. They had escaped to Tral after carrying out civilian killings and various other incidents. We were tracking them. Both terrorists have been killed today: IGP Kashmir Vijay Kumar on Tral encounter pic.twitter.com/jFT6gZTSFw
— ANI (@ANI) April 6, 2022
বেশ কয়েক ঘণ্টা গুলির লড়াই চলার পর ওই দুই জঙ্গির মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। তাদের কাছ থেকে বেশ কিছু আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। ওই ডেরায় আরও জঙ্গি লুকিয়ে আছে কি না, তার খোঁজ চালাচ্ছে বাহিনী।
আরও পড়ুন: Anubrata Mandal: সিবিআই দফতরে নয়, এসএসকেএম হাসপাতালে অনুব্রত
এর আগে গত বুধবার কাশ্মীরের রাইনাওয়াড়িতে জঙ্গি দমন অভিযানে বড় সাফল্য মেলে ভারতীয় নিরাপত্তা বাহিনীর। লস্কর-ই-তইবার দুই জঙ্গিকে (Lashkar-E-Taiba) নিকেশ করে পুলিস ও নিরাপত্তা বাহিনী। ওইদিন একজনের থেকে প্রেস কার্ডও উদ্ধার করা হয়। ওই আইডি কার্ডে দেখা যায়, মৃত জঙ্গি রইস আহমেদ অনন্তনাগের ভ্যালি মিডিয়া সার্ভিসের এডিটর ইন চিফ পোস্টে নিযুক্ত। তবে ওই সংবাদমাধ্যমটি খুব বেশি পরিচিত নয়।