১৯১৯ সালের দমনমূলক রাওলাট আইন, ভারতীয় জাতীয়তাবাদীদের বিক্ষুব্ধ করে তুলেছিল। প্রতিবাদে সুভাষচন্দ্র ‘স্বরাজ’ নামক সংবাদপত্রে কলম ধরেন। পরবর্তীকালে তিনি বঙ্গীয় প্রদেশ কংগ্রেস কমিটির প্রচারের দায়িত্ব গ্রহণ করেন। তাঁর রাজনৈতিক গুরু ছিলেন বাংলায় মহান জাতীয়তাবাদের প্রবক্তা দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাশ।
সুভাষচন্দ্র ছিলেন একজন ধর্মপ্রাণ হিন্দু (হিন্দুত্ববাদী নন)। কিন্তু আজাদ হিন্দ ফৌজ পরিচালনা ও স্বাধীনতা সংগ্রামের ক্ষেত্রে তিনি সম্পূর্ণ ধর্মনিরপেক্ষ ভাবধারায় সকল ধর্মাবলম্বীকে ঐক্যবদ্ধ করে তুলতে সক্ষম হয়েছিলেন। স্বামী বিবেকানন্দের ভাবাদর্শ তাঁকে অনুপ্রাণিত করেছিল। ছাত্র জীবন থেকে তিনি তাঁর দেশপ্রেমিক সত্তার জন্য পরিচিত ছিলেন।
আরও পড়ুন, সংক্ষেপে জানুন সুভাষচন্দ্র বসুর জীবনী
সুভাষচন্দ্র বসু ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের এক চিরস্মরণীয় কিংবদন্তি নেতা। ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসে তিনি হলেন এক উজ্জ্বল ও মহান চরিত্র। তিনি নেতাজি নামে পরিচিত ছিলেন। তাঁর সবচেয়ে বিখ্যাত উক্তি, “তোমরা আমাকে রক্ত দাও, আমি তোমাদের স্বাধীনতা দেব”। তাঁর আরও একটি বিখ্যাত উক্তি হল “দিল্লি চলো”, যা তিনি আইএনএ সেনাবাহিনীকে অনুপ্রাণিত করার জন্য বলতেন। জয় হিন্দ তাঁর ব্যবহৃত আরও একটি স্লোগান, যা পরে ভারত সরকার এবং ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনী কর্তৃক গৃহীত হয়েছিল। তাঁর উদ্ভাবিত আরও একটি স্লোগান ছিল “ইত্তেহাদ, এতেমাদ, কুরবানী”। এছাড়া আজাদ হিন্দ ফৌজে “ইনকিলাব জিন্দাবাদ” স্লোগানটি ব্যবহার করেছিলেন।
আরও অন্য খবর দেখুন