নয়াদিল্লি: তেলঙ্গানা বিধানসভার অধ্যক্ষকে (Assembly Speaker) তিন মাসের মধ্যে দলত্যাগ বিরোধী আইন অনুযায়ী দলত্যাগী বিধায়কদের সম্পর্কে সিদ্ধান্ত নিতে নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। দেশের বহু রাজ্যেই ঝুলে থাকা একই রকম সমস্যার পরিপ্রেক্ষিতে যে নির্দেশ উল্লেখযোগ্য।
ভোটে বিআরএস-এর (BRS) টিকিটে জেতা ১০ বিধায়ক ক্ষমতাসীন কংগ্রেসে (Congress) যোগ দেন। তাঁদের বিধায়ক পদ দলত্যাগ বিরোধী আইনে বাতিল করার জন্য আবেদন করা হলেও তা ঝুলে রয়েছে। সেই সূত্রে হওয়া মামলায় তেলঙ্গানা বিধানসভার (Telangana Assembly) অধ্যক্ষকে সংবিধানের দশম অনুচ্ছেদ অনুযায়ী তিন মাসের মধ্যে সিদ্ধান্ত নিতে নির্দেশ দেওয়া হল।
বিধানসভার মেয়াদ শেষ হওয়া পর্যন্ত এমন বিধায়কদের বিরুদ্ধে হওয়া আবেদন ঝুলিয়ে রেখে দেওয়ার মাধ্যমে কোনওরকম সুবিধা দেওয়ার প্রচেষ্টা মানা হবে না। ‘অস্ত্রোপচার সফল, কিন্তু রোগী মৃত’, এমন পরিস্থিতি হতে দেওয়া চলবে না। দলত্যাগীদের বিধায়ক পদ বাতিলের জন্য করা আবেদন সাত মাস পড়ে থাকলেও অধ্যক্ষ কোনও নোটিস জারি করেননি। এটি দেখার পরেই ক্ষুব্ধ প্রধান বিচারপতি বিআর গভই ও বিচারপতি এজি মাসির মন্তব্য।
আরও পড়ুন: সেনা কনভয়ে পাহাড় থেকে আছড়ে পড়ল পাথর, আহত একাধিক
তেলঙ্গানা হাইকোর্টের একক বিচারপতি বিধানসভার অধ্যক্ষকে দলত্যাগীদের বিরুদ্ধে করা আবেদনের শুনানি চার সপ্তাহের মধ্যে শুরু করার জন্য অধ্যক্ষকে নির্দেশ দেন। কিন্তু ওই হাইকোর্টের দুই বিচারপতি ডিভিশন বেঞ্চ সেই নির্দেশ বাতিল করে। যা বাতিল করে সুপ্রিম কোর্টের কড়া নির্দেশ।
উল্লেখ্য, সংবিধানে ৫২তম সংশোধনী হিসাবে দলত্যাগ বিরোধী আইনের আবির্ভাব। সে কথা মনে করিয়ে দিয়ে প্রধান বিচারপতি এদিন বলেন, রাজনৈতিক দলত্যাগ সংক্রান্ত ক্ষতিকর দৃষ্টান্ত রাষ্ট্রের পক্ষে অমঙ্গলজনক। এই প্রবণতার যথাযথভাবে মোকাবিলা করা না হলে আমাদের দেশের গণতান্ত্রিক ভিত্তির প্রভূত ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা। একই সঙ্গে আদালত জানিয়েছে, বিধানসভার অধ্যক্ষের সিদ্ধান্ত সম্পূর্ণভাবে বিচারবিভাগীয় পর্যালোচনার বাইরে নয়। তাছাড়া সংবিধানিক বেঞ্চ ইতিমধ্যেই জানিয়ে দিয়েছে, বিধায়ক পদ বাতিলের আবেদন বছরের পর বছর ফেলে রাখা যায় না।
সংসদের প্রতি আদালতের আরজি, বিধানসভার অধ্যক্ষ বা আইনসভার চেয়ারম্যান দ্বারা সদস্যপদ বাতিলের বর্তমান ব্যবস্থা যথাযথ কি না, তার খতিয়ে দেখা যেতে পারে। মূলত রাজনৈতিক দলত্যাগের প্রবণতা বন্ধ করার স্বার্থে।
দেখুন অন্য খবর: