ওয়েব ডেস্ক: করমুক্ত হলুদ মটর আমদানির (Tax-Free Yellow Peas Import) ফলে দেশিয় কৃষকরা (Indian Farmers) বড়সড় ক্ষতির মুখে পড়ছেন। কৃষক সংগঠন কিষান মহাপঞ্চায়েতের দায়ের করা জনস্বার্থ মামলায় এমনই অভিযোগে কেন্দ্রের (Government Of India) অবস্থান জানতে চাইল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)।
মামলাকারীদের আইনজীবী প্রশান্ত ভূষণ আদালতকে জানান, করমুক্ত আমদানির কারণে সয়াবিন, চিনা বাদাম, বিউলি, মুগ এবং অড়হরের দাম ন্যূনতম সহায়ক মূল্যের নিচে নেমে গিয়েছে। অথচ এই বছরের মার্চ মাসে কমিশন অন এগ্রিকালচারাল কস্টস অ্যান্ড প্রাইসেস (CACP) হলুদ মটর আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা জারির পাশাপাশি অড়হর, মুগ, মসুর ও বিউলির আমদানি শুল্ক বাড়ানোর সুপারিশ করেছিল। সম্প্রতি নীতি আয়োগও দেশে ডাল উৎপাদনে উৎসাহ দেওয়ার পক্ষে মত জানিয়েছে।
আরও পড়ুন: ৩১ জানুয়ারির আগেই শেষ করতে হবে নির্বাচন! নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের
বিচারপতি সূর্যকান্ত মন্তব্য করেন, “দেশে কি সত্যিই চাহিদার তুলনায় কম ডাল উৎপাদন হয়? আসলে কৃষকরা তাঁদের উৎপাদিত পণ্য মজুদ রাখতে পারেন না, কারণ পর্যাপ্ত সংরক্ষণ ব্যবস্থা নেই। ফলে ন্যূনতম দামের চেয়েও কম দামে বিক্রি করতে বাধ্য হন।”
কেন বিতর্ক তৈরি হল?
- হলুদ মটর প্রতি কুইন্টাল আমদানি হচ্ছে ৩৫০০ টাকায়।
- অন্যদিকে দেশীয় বিউলি, অড়হর ও ছোলার ন্যূনতম সহায়ক মূল্য ৮৫০০ টাকা প্রতি কুইন্টাল।
- অর্থাৎ আমদানি করা ডাল প্রতি কেজি ৩৫ টাকায় আসে, যেখানে দেশীয় বাজারে তা ৮৫ টাকা।
আগে আমদানি করা ডালে যুক্তিসঙ্গত কর নেওয়া হত এবং আমদানির পরিমাণেও সীমাবদ্ধতা ছিল। সে নীতিকে চ্যালেঞ্জ করে কিছু কোম্পানি আদালতে গেলে রায়ে স্পষ্ট বলা হয়েছিল দেশীয় কৃষকদের সুরক্ষা সর্বাগ্রে রাখতে হবে। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতি তার বিপরীত, অভিযোগ মামলাকারীর। কৃষকরা উৎপাদন খরচও তুলতে পারছেন না, বাড়ছে আত্মহত্যার ঘটনা। সুপ্রিম কোর্ট কেন্দ্রের কাছ থেকে এ বিষয়ে বিস্তারিত ব্যাখ্যা ও ভবিষ্যৎ অবস্থান জানতে চেয়েছে। মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে শিগগিরই।
দেখুন আরও খবর:







