নয়াদিল্লি: নারী-বিদ্বেষী মন্তব্য নিয়ে বম্বে হাইকোর্টের (Bombay High Court) তীব্র সমালোচনা করল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। বিবাহ-বিচ্ছেদের মামলায় এক মহিলাকে ‘অবৈধ স্ত্রী’, ‘বিশ্বস্ত উপপত্নী’ জাতীয় মন্তব্য করেছিলেন হাইকোর্ট। তার সমালোচনা করে বিচ্ছেদ মঞ্জুর করল শীর্ষ আদালত।
বিচারপতি অভয় এস ওকা, বিচারপতি আহসানউদ্দিন আমানুল্লাহ এবং বিচারপতি অগাস্টিন জর্জ মাসির অভিমত, সংবিধানের আর্টিকল ২১ (Article 21) অনুযায়ী প্রত্যেক নাগরিকের সম্মানজনক জীবন নিশ্চিত করা হয়েছে। সেখানে কোনও মহিলাকে অবৈধ স্ত্রী বা বিশ্বস্ত উপপত্নী হিসেবে অভিমত দেওয়া ওই সাংবিধানিক ব্যবস্থার পরিপন্থী। একইসঙ্গে তা সাংবিধানিক নীতি ও আদর্শেরও পরিপন্থী। বিবাহ-বিচ্ছেদ হয়ে যাওয়া কোনও মহিলার প্রতিও এমন বিশেষণ প্রয়োগ করা যায় না। দুর্ভাগ্যজনকভাবে হাইকোর্টের একটি ফুল বেঞ্চ এমনই আপত্তিকর ভাষা ব্যবহার করেছে যা নারীবিদ্বেষী এবং ভুল।
আরও পড়ুন: ওয়াকফ বিল রিপোর্ট নিয়ে সংসদে তুমুল, কী বলল বিরোধীরা?
১৯৫৫ সালের হিন্দু বিবাহ আইনের ২৫ ধারা অনুযায়ী কোনও বৈবাহিক সম্পর্ক বাতিল হয়ে যাওয়ার পরেও স্ত্রী খোরপোশ পেতে পারেন কি না প্রশ্নে হওয়া মামলায় এই অভিমত দিয়েছে সর্বোচ্চ আদালত। ওই আইনের ১১ ধারা অনুযায়ী অবশ্যই খোরপোশ (পার্মানেন্ট অ্যালিমনি) দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া যায় বলে জানিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।
উল্লেখ্য, বম্বে হাইকোর্টের ২০০৪ সালের একটি রায়ে এমন মন্তব্য করা হয়। সুপ্রিম কোর্ট লিঙ্গ সম্পর্কিত বিতর্ক এড়ানোর স্বার্থে সম্প্রতি একটি হ্যান্ডবুক প্রকাশ করেছে। রায় প্রদান ও লেখার সময় লিঙ্গ সম্পর্কিত কোনও আপত্তিকর শব্দ ব্যবহারের ক্ষেত্রে বিকল্প কী ধরনের শব্দ ও বাক্যবন্ধ ব্যবহার করা যেতে পারে তার উল্লেখ আছে ওই বইতে।
দেখুন অন্য খবর: