পুনে: রাতের অন্ধকারে রিজার্ভ কামরায় আসন দখলের অভিযোগ। সোমবার রাতে হাওড়ামুখী দুরন্ত এক্সপ্রেসের (Duronto express) যাত্রীরা (Passengers) এই অভিযোগ তুলেই সিআরপিএফ-এ (CRPF) অভিযোগ করেন। যাত্রীদের আরও অভিযোগ, ট্রেনের মধ্যে যখন এইসব চলছে, তখন সব জেনেও নির্বিকার ছিল রেল। যাত্রীদের সাহায্য করতে এগিয়ে আসেননি ভারতীয় রেল কর্তৃপক্ষ।
সোমবার বিকেল ৩টে ১৫ মিনিটে পুনে থেকে ছাড়ে ১২২২১ পুনে-হাওড়া দুরন্ত এক্সপ্রেস। ৯টা স্টেশনে থেমে ২৯ ঘণ্টা পর মঙ্গলবার রাতে যাত্রীদের হাওড়ায় পৌঁছনোর কথা এই ট্রেনের। তার আগে সোমবার রাতেই ঘটে এই ঘটনা। রাত ১০টা ৪০ নাগাদ ভুসওয়ল স্টেশনে দাঁড়ায় ট্রেনটি। ট্রেন থামতে না থামতেই দুরন্তর দরজা খুলে হুড়মুড়িয়ে ঢুকতে শুরু করেন সংরক্ষিত বাতানুকূল কামরার ভিতরে। লাঠিসোঁটা নিয়ে ট্রেনে উঠে আসন জবরদখল নেন কয়েকজন। তাঁদের মধ্যে কয়েকজন মদ্যপ ছিলেন বলেও অভিযোগ।
আরও পড়ুন: বিহারের দুর্গাপুজো মণ্ডপে পদপিষ্ট হয়ে মৃত্যু শিশু সহ ৩
যাত্রীদের অভিযোগ, ট্রেনের বি ফোর কামরায় প্রায় হাজারখানেক লোক ঢুকে যায়। আসন থেকে ঠেলে সরানোর অভিযোগ। খাবার, হাতের ব্যাগও কেড়ে নেওয়া হয়। এত লোক একসঙ্গে ওঠায় এসিও কাজ করা বন্ধ হয়ে যায়। এরপরই আরপিএফের হেল্পলাইন নম্বরে অভিযোগ জানান তাঁরা। কিন্তু বারবার অভিযোগ বাতিল হয়েছে। জানানো হয়েছে, সাহায্য করা সম্ভব নয়। এক্স হ্যান্ডেলে অভিযোগ করেও কোনও লাভ হয়নি। রাত ১১টা থেকে ভোর ৪টে পর্যন্ত না ঘুমিয়েও দুঃস্বপ্ন দেখেছেন ১২২২১ পুণে-হাওড়া দুরন্ত এক্সপ্রেসের যাত্রীরা।
এদিকে, ওই ট্রেনেরই ‘বি ফোর’ কামরায় পরিবার নিয়ে কলকাতায় ফিরছিলেন কাঞ্চন দাস। সঙ্গে ছিল সাত বছরের সন্তান এবং স্ত্রী রেশমি চৌধুরী। রেশমি জানান, ৬০-৬৫ জনের থাকার কামরা। সেখানে ঢুকে পড়েন প্রায় হাজার খানেক মানুষ। তাঁদের জামাকাপড় অপরিচ্ছন্ন। আচরণও খারাপ। আমাদের আসন থেকে ঠেলে সরিয়ে দিয়ে ওরা আমাদের আসনে বসে পড়ে। আমাদের জলের বোতল, খাবার, হাতের ব্যাগ কেড়ে নেয়। এমনকি, রেলের দেওয়া কম্বল, চাদর, বালিশও নিয়ে নেয়। একসঙ্গে এত লোক ঢুকে পড়ায় এসি কাজ করা বন্ধ করে দেয়, অনেকেরই শ্বাসকষ্টের সমস্যা শুরু হয়। তিনি আরও জানান, তিনি অ্যাজ়মা রোগী। তাঁরও শ্বাসকষ্ট শুরু হয়।
দেখুন আরও অন্য খবর: