উটি: কুন্নুরে জেনারেল বিপিন রাওয়াতের সেনা চপার (IAF Chopper Crashed) ভেঙে মৃত ১৩ জনের মধ্যে মাত্র তিন জনকে শনাক্ত করা গিয়েছে। মাটিতে আছড়ে পড়ার পর কপ্টারটিতে আগুন ধরে যাওয়ায় (IAF Chopper Crashed Bipin Rawat) , বাকি দেহগুলি যে ভাবে ঝলসে গিয়েছে, দেখে চেনার উপায় নেই। চেনার যে উপায় নেই, বুধবারই প্রত্যক্ষদর্শীরা তা জানিয়েছিলেন (Chief of Defence Staff)। বৃহস্পতিবার সেনার তরফেও তা স্বীকার করা হয়েছে।
ভারতীয় সেনার বিবৃতি অনুযায়ী, তামিলনাড়ুতে হেলিকপ্টার ভেঙে নিহতদের শনাক্ত করা তাদের পক্ষে কঠিন হয়ে পড়েছে। এ জন্য নিহতদের পরিবারের ঘনিষ্ঠ স্বজনদের সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে। দেহ শনাক্ত করতে বিজ্ঞানসম্মত পদক্ষেপ করতে হবে। তার পরেই পরিবারের হাতে দেহাবশেষ তুলে দেওয়া হবে। নিহতদের ডিএনএ টেস্ট করার কথা বুধবারই ঘোষণা করেছিল কেন্দ্র।
আরও পড়ুন: IAF Chopper Crashed: জেনারেল রাওয়াতের কপ্টার দুর্ঘটনায় মৃতদের ডিএনএ টেস্ট করাবে কেন্দ্র
এদিকে, বৃহস্পতিবার রাতেই সিডিএস জেনারেল বিপিন রাওয়াত সহ ১৩ জনের কফিনবন্দি মরদেহ দিল্লির পালাম বিমানঘাঁটিতে এসে পৌঁছেছে। সেখানে শেষ শ্রদ্ধা জানান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভাল প্রমুখ। শুক্রবার পূর্ণ সামরিক মর্যাদায় শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে।
বুধবার বেলা সওয়া ১২টা নাগাদ কুন্নুরের নীলগিরি চা-বাগানের কাছে ভেঙে পড়ে জেনারেল বিপিন রাওয়াতের কপ্টারটি। সস্ত্রীক ওয়েলিংটনে এক অনুষ্ঠানে যোগ দিতে যাচ্ছিলেন। সুলুর বিমানঘাঁটি থেকে রওনা হওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই চপারটি ভেঙে পড়ে।
বায়ুসেনার প্রাথমিক তদন্তে দাবি করা হয়, ঘন কুয়াশার কারণে দৃশ্যমানতা কম ছিল। তবে চপার দুর্ঘটনার এটাই প্রকৃত কারণ কি না, তা তদন্ত শেষ হলেই স্পষ্ট হবে। ইতিমধ্যে চপারটির ব্ল্যাক বক্স উদ্ধার করা হয়েছে। তামিলনাড়ু সরকারের ফরেন্সিক দলও দুর্ঘটনাস্থল থেকে নমুনা সংগ্রহ করেছে। নীলগির জেলা পুলিসের তরফেও এদিন একটি মামলা রুজু করা হয়েছে।