নয়াদিল্লি: তৃণমূল কংগ্রেস (TMC), তৃণমূল যুব কংগ্রেস এবং তৃণমূল ছাত্র পরিষদ সম্মিলিতভাবে ব্লকে ব্লকে নরেন্দ্র মোদি, অমিত শাহ এবং গিরিরাজ সিংয়ের কুশপুত্তলিকা দাহ ও মিছিল (Procession) করবে। কাল, বৃহস্পতিবার তৃণমূলের রাজভবন (Rajbhawan) অভিযান। দিল্লি (Delhi) থেকে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee) ১ লক্ষ লোক নিয়ে রাজভবন অভিযানের ডাক দিয়েছেন। ৫০ লক্ষ চিঠি নিয়ে তাঁরা রাজভনে যাবেন। রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করবেন বলে জানিয়েছেন।
মঙ্গলবার যন্তরমন্তরে কর্মসূচি শেষে কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রী নিরঞ্জন জ্যোতির সঙ্গে দেখা করার কথা ছিল তৃণমূলের প্রতিনিধি দলের। নেতৃত্বে ছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সন্ধ্যা ৬টা নাগাদ হেঁটে কৃষি ভবনে যায় তৃণমূলের দল। কৃষি ভবনে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তাঁদের সঙ্গে দেখা করেনি। তখন কৃষি ভবনেই অবস্থান শুরু করে তৃণমূলের প্রতিনিধি দল। রাত ৯টা নাগাদ কৃষি ভবনে অবস্থান করা তৃমূলের প্রতিনিধি দলকে জোর করে তুলে দেওয়ার চেষ্টা করে দিল্লি পুলিশ। অভিষেক সহ দলের শীর্ষ নেতৃত্বকে আটক করেছে দিল্লি পুলিশ। বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে তাঁদের মোবাইল ফোনও।
আরও পড়ুন: মন্ত্রী দেখা না করা পর্যন্ত নড়ব না: অভিষেক
দুঘণ্টা পর থানা থেকে বেরিয়ে সাংবাদিক বৈঠক করেন অভিষেক। সেখানে তিনি বলেন জমিদারদের কাছে মাথা নত করবে না বাংলা। আমাদের মহিলা সাংসদদের হেনস্তা করা হয়েছে। টেনে হিঁচড়ে নিয়ে গিয়েছে দিল্লি পুলিশ। কৃষি ভবনে ঢোকার পর কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জানিয়ে দেন তিনি ভুক্তভোগীদের সঙ্গে দেখা করবেন না। বারবার অনুরোধ করা সত্ত্বেও তিনি সেই অনুরোধ রাখেননি। আমরা সন্তানহারাদের সঙ্গে দেখা করার অনুরোধ করলেও তিনি রাজি হননি। বেশ খানিকক্ষণ বসে থাকার পর আমরা জানতে পারি মন্ত্রী আমাদের সঙ্গে দেখা করবেন না। তিনি বেরিয়ে গিয়েছেন। সন্তানহারাদের সঙ্গে দেখা না করে তিনি পালিয়ে গেলেন। দিল্লিতে তৃমূলের হেনস্তার ঘটনায় ক্ষুব্ধ তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লিখেছেন, আজ গণতন্ত্রের জন্য একটি অন্ধকার, অশুভ দিন। বাংলার জনগণের প্রতি বিজেপির ঘৃণা, দরিদ্রদের অধিকারের প্রতি তাদের অবজ্ঞা প্রকাশ পেয়েছে। গণতান্ত্রিক মূল্যবোধকে সম্পূর্ণ বিসর্জন দিয়ে দেওয়া হয়েছে।
আরও খবর দেখুন