গুয়াহাটি: জম্মু-কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা প্রত্যাহার করা হয়েছে আগেই। এবার কি উপত্যকা থেকে প্রত্যাহার করে নেওয়া হবে আফস্পা? কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের মন্তব্যে তেমনই ইঙ্গিত মিলেছে। অসমে একটি অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখার সময় রাজনাথ বলেন, ‘তিন বাহিনীও চায় জম্মু-কাশ্মীর থেকে দ্রুত আফস্পা প্রত্যাহার করে নেওয়া হোক।’ যদিও এই ইস্যুতে কেন্দ্রের অবস্থান কী, তা স্পষ্ট করেননি কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রী।
রাজনাথ বলেন, ‘গত ৩-৪ ছর ধরে উত্তর-পূর্ব রাজ্যগুলিতে আফস্পা প্রত্যাহারের কাজ চলছে। সম্প্রতি অসমের ২৩টি জেলা থেকে আফস্পা সম্পূর্ণরূপে তুলে নেওয়া হয়েছে। এটা কোনও ছোট বিষয় নয়। মণিপুর এবং নাগাল্যান্ডের ১৫টি থানা থেকে আফস্পা প্রত্যাহার করা হয়েছে। শান্তি ও স্থিতাবস্থার জন্য এই এলাকাগুলিতে আফস্পা প্রত্যাহার করা হয়েছে।’
আফস্পা কী? কী বলা আছে এই আইনে?
দ্য আর্মড ফোর্সেস স্পেশাল পাওয়ার অ্যাক্ট সংক্ষেপে আফস্পা৷ উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলির বিচ্ছিন্নতাকামী শক্তি দমনে সেনাবাহিনীর হাতে বাড়তি ক্ষমতা তুলে দিতে ১৯৫৮ সালে এই আইন চালু করে কেন্দ্র৷ অরুণাচল প্রদেশ, মিজোরাম, নাগাল্যান্ড, মণিপুর এবং অসমে চালু আছে৷ স্বাধীনতার এত বছর পরও এই আইন চালুর প্রয়োজনীয়তা নিয়ে হামেশাই প্রশ্ন উঠেছে৷ উত্তর-পূর্বের বহু মানুষের চোখে আফস্পা হল ‘কালা আইন’৷ জম্মু কাশ্মীরেও আফস্পা চালু রয়েছে।
Assam | It's no small thing that for the last 3-4 years, the work of removing AFSPA is being done in the northeastern states. Recently AFSPA was completely removed from 23 dist of Assam: Defence Minister Rajnath Singh at the felicitation ceremony of 1971 War Veterans in Guwahati pic.twitter.com/9u7oIIFK3g
— ANI (@ANI) April 23, 2022
আরও পড়ুন: Anubrata Mandol: হাতে আর দেড় ঘণ্টা, নিজাম প্যালেস যাবেন অনুব্রত?
উত্তর-পূর্বের মানুষদের একটা বড় অংশের অভিযোগ, আইনের অপপ্রয়োগ করে সেনাবাহিনী সাধারণ মানুষের উপরই দমন পীড়ন চালায়৷ এই আইনে বলা আছে, আইনশৃঙ্খলায় বিঘ্ন ঘটাতে পারে এমন কোনও ব্যক্তিকে স্রেফ সন্দেহের বশে সেনাবাহিনী গ্রেফতার এবং গুলি করতে পারবে৷ বিনা ওয়ারেন্টে যে কোনও জায়গায় তল্লাশি চালার অধিকারও দেওয়া হয়েছে সেনাবাহিনীকে৷ সন্দেহজনক গাড়ি থামিয়ে রাস্তায় তল্লাশি করতে পারবে৷ সর্বোপরি এই আইন সেনাবাহিনীকে রক্ষাকবচ দেয়৷ অভিযুক্ত কোনও সেনা অফিসারের বিরুদ্ধে তদন্ত করার কোনও ধারা এই আফস্পায় নেই৷ ‘ড্র্যাকোনিয়ান’ সেই আইন প্রত্যাহারের দাবিতে দীর্ঘ ১৬ বছর অনশন চালিয়েছিলেন শর্মিলা চানু৷