ওয়েবডেস্ক- বাংলার বাইরে বাংলাভাষী পরিযায়ী শ্রমিকদের (Bengali-Speaking Migrant workers) উপর হেনস্থা থেকে নির্যাতনের ঘটনা ক্রমশ ভয়ঙ্কর আকার নিচ্ছে। পেটের টানে রাজ্যের বাইরে কাজ করতে যাওয়া মানুষগুলি ভয়ে ঘরে ফিরে আসতে বাধ্য হচ্ছে। পরিযায়ী শ্রমিকদের পাশে দাঁড়িয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। পরিযায়ী শ্রমিকদের (Migarant Workers) নির্যাতন নিয়ে তিনি যে চুপ করে থাকবেন না, তা আগেই জানিয়ে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
২৭ জুলাই থেকে ভাষা আন্দোলনের ডাক দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই আন্দোলন গোটা রাজ্যে ছড়িয়ে দেওয়ার হুঙ্কার দিয়েছেন তিনি। ইতিমধ্যেই শান্তিনিকেতন থেকে ভাষা আন্দোলন শুরু করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। এবার ঝাড়গ্রামের জঙ্গলমহলে আগামী ৬ আগস্ট এই আন্দোলন করতে চলেছেন মুখ্যমন্ত্রী। দলীয় নেতানেত্রীরা ছাড়াও সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষ এই প্রতিবাদ কর্মসূচিতে যোগদান করবেন।
এবার বাংলাভাষী পরিযায়ী শ্রমিক ও তাদের পরিবারে সদস্যদের সঙ্গে দেখা তৃণমূল সাংসদরা। গুরুগ্রামে পৌঁছে সেখানে বসবাসকারী বাংলার মানুষদের সঙ্গে দেখা করেন তৃণমূলের লোকসভার সাংসদ শর্মিলা সরকার, বাপি হালদার ও রাজ্যসভার সাংসদ মমতাবালা ঠাকুর ও প্রকাশচিক বরাইক ৷
তৃণমূল সাংসদরা (TMC MP) সেখানকার মানুষদের সঙ্গে কথা বলেন, তাদের সমস্যা কথা শোনেন। গুরুগ্রাম পুলিশের পদক্ষেপের সমালোচনায় সরব হয় বাংলার শাসক শিবিরের সাংসদরা। তাদের অভিযোগ, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের নির্দেশে পুলিশ অবৈধভাবে বসবাসকারী রোহিঙ্গা এবং বাংলাদেশি অভিবাসীদের বিরুদ্ধে ব্যাপক অভিযান শুরু করেছে। ইতিমধ্যেই গুরুগ্রাম পুলিশ সন্দেহভাজন অভিবাসীদের চিহ্নিত করে আটক করে তাদের সেন্টারে পাঠিয়ে দিচ্ছে। তার পর থেকেই আতঙ্কে রয়েছেন মানুষ।
আরও পড়ুন- “আমাকে ফাঁসানো হয়েছে…,” বেকসুর খালাস হয়ে বললেন সাধ্বী প্রজ্ঞা
তৃণমূল সাংসদ মমতাবালা ঠাকুর (Trinamool MP Mamata Bala Thakur) হরিয়ানার সরকারকে (Haryana Government) এই ইস্যুতে কটাক্ষ করে বলেছেন, তিনি বলেন, গুরুগ্রাম পুলিশ একটি নির্দিষ্ট সম্প্রদায়কে নিশানা করছে। বাংলা ভাষাভাষী প্রতিটি নাগরিককে বাংলাদেশি হিসেবে বিবেচনা করা যায় না।
এই পদক্ষেপ ঠিক নয়। এর পিছনে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য আছে। মমতাবালার আরও অভিযোগ, লোকেদের পোশাক খুলে পরীক্ষা করা হচ্ছে। কারণ তারা মুসলিম কিনা তা পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে। অত্যন্ত কুরুচিকর বিষয়। এমনকী মানুষের কাছে নাগরিকত্বের বৈধ কাগজপত্র থাকলেও তার সঙ্গে এই ধরনের আচরণ করা হচ্ছে।‘ তৃণমূলের লোকসভার সাংসদ শর্মিলা সরকারও বিজেপিকে নিশানা করে বলেন, রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করার জন্য এই সমস্ত কাজ করা হচ্ছে’।
দেখুন আরও খবর-