আগরতলা: এক বছরও হয়নি। কলকাতায় এসে কালীঘাটে ন্যাড়া হয়ে বিজেপিকে গালমন্দ করে তৃণমূলে যোগ দিয়েছিলেন। আজ, শুক্রবার সেই তৃণমূল পর্ব শেষ করলেন ত্রিপুরার প্রাক্তন বিজেপি বিধায়ক আশিস দাস। তৃণমূল ছাড়ার সময় আশিসের কটাক্ষ, তৃণমূল ত্রিপুরায় বিজেপিকে শেষ করতে নয়, সুবিধে করতে এসেছে। এই দলে কাজ করা যায় না। কংগ্রেসের সঙ্গে ভোট কাটাকাটি করে আখেরে বিজেপিকে সুবিধে করে দিচ্ছে তৃণমূল।
গত বছর পুজোর আগে ত্রিপুরায় যখন তৃণমূল হাওয়া বইতে শুরু করেছিল, তখনই ঘাসফুলে আসেন আশিস। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেবের বিরুদ্ধে গুচ্ছ গুচ্ছ অভিযোগ তুলে বিজেপি ছেড়েছিলেন। দাবি করেছিলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে ত্রিপুরায় নতুনভাবে কাজ করবেন। তাঁর দাবি ছিল, বাংলার মতো ত্রিপুরাতেও উন্নয়নের জোয়ার আসবে তৃণমূলের হাত ধরে। আর শুক্রবার দল ছাড়ার সময় আশিসের অভিযোগ, তৃণমূলে দলবাজি বেশি। দলে আমাকে কোণঠাসা করে রাখা হচ্ছে। এখানে কাজের পরিসর নেই।
আশিসের তৃণমূল ছাড়াকে একেবারেই গুরুত্ব দিয়ে রাজি নয় গেরুয়া শিবির। দলের এই প্রাক্তন বিধায়ককে মানসিক বিকারগ্রস্ত বলে কটাক্ষ করতে ছাড়লেন না বিজেপির অন্যতম সাধারণ সম্পাদক টিঙ্কু রায়। প্রসঙ্গত, ২০১৫ সালে সুরমা থেকে উপনির্বাচনে প্রথম জয়ী হয়েছিলেন আশিস দাস। ২০১৮ সালে আবার ওই কেন্দ্রে বিজয়ী হন তিনি। গত বছর বিধায়ক পদ ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিয়েছিলেন আশিস।
আরও পড়ুন: Wriddhiman Saha: সরকারিভাবে এবার ‘বাই বাই বাংলা’ ! দায় কার ?
অন্যদিকে আশিসের তৃণমূল ছাড়াকে গুরুত্ব দিতে নারাজ ঘাসফুল শিবিরও। ত্রিপুরা তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি সুবল ভৌমিক বলেন, তৃণমূলে যোগ দেওয়ার পর বেশ কয়েকমাস কেটে গিয়েছে। দলের সঙ্গে আশিসের কোনও যোগই ছিল না। মাঝে মাঝে লোক হাসানো কিছু কাজকর্ম করতে। নিজে যে কেন্দ্র থেকে বিধায়ক হয়েছিলেন, সেখানেও যাননি। সেই সুরমা এলাকার মানুষজনও আশিসকে চেনেন না। তৃণমূলের সঙ্গে সম্পর্ক না থাকা আশিসের দলত্যাগ হল কি না, সেটাই বলা মুসকিল, কটাক্ষ সুবলের।