নয়া দিল্লি: ত্রিপুরা পুরভোটের(Tripura Civic poll) হিংসা (Tripura Violence) নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের অবিলম্বে হস্তক্ষেপ চেয়ে নতুন করে শুক্রবার তৃণমূল কংগ্রেসের হয়ে আবেদন করলেন আইনজীবী কপিল সিব্বল (kapil Sibal)। আজ, শুক্রবার বিকেল ৪ টের সময় যাতে শুনানি হয়, সেই আবেদন তিনি সুপ্রিম কোর্টের কাছে রেখেছেন। আজই শুনানি হবে কি না, বেলা দু’টোর পর সেই বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানবেন বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়।
বৃহস্পতিবার ত্রিপুরায় পুরভোটের নামে আসলে যে প্রহসন হয়েছে তার উল্লেখ করতে গিয়ে কপিল সিব্বল বিভিন্ন মিডিয়ার রিপোর্ট সামনে আনেন। অভিযোগ করেন, নির্বিঘ্নে পুরভোট করতে সুপ্রিম কোর্ট যে নির্দেশ দিয়েছিল, তা মানা হয়নি। প্রার্থীরা পর্যন্ত বুথে যেতে পারেননি। নিজের ভোটাধিকারও প্রয়োগ করতে পারেননি বলে অনেকেই মিডিয়ার সামনে তাঁদের ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তাই অবিলম্বে আজ অথবা কাল শনিবার এই মামলার শুনানি হোক।
বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় জানান, শনিবার সংসদীয় দিবসের অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ রয়েছে, তাই শুনানি সম্ভব নয়। তবে আজ, শুক্রবার শুনানি করা যায় কি না, কিছুক্ষণের মধ্যেই তিনি জানাবেন।
আরও পড়ুন – ত্রিপুরায় পুনরায় নির্বাচনের দাবিতে শুক্রবার সুপ্রিম কোর্টে যাবে তৃণমূল
বৃহস্পতিবার বিপ্লব দেবের জন্মদিনের দিনই ত্রিপুরায় পুরভোট অনুষ্ঠিত হয়। পুর নিগম, পুর পরিষদ ও নগর পঞ্চায়েত মিলে ৩৩৬টি আসনে ভোট হওয়ার কথা থাকলেও ১১২টি আসনে আগেই বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় জিতে গিয়েছে বিজেপি। ফলে, ২২৪টি আসনে নির্বাচন হয়।
বাম তৃণমূল-সহ বিরোধীরা অভিযোগ করেন, ভোটের নামে প্রহসন হয়েছে। লোকজনকে ভোট দিতে দেওয়া হয়নি। প্রার্থীদের মারধর পর্যন্ত করা হয়েছে। বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীদের মারে আগরতলায় তৃণমূলের এক প্রার্থীর দুটো চোখ প্রায় নষ্ট হতে বসেছে। শুধু আগরতলা নয়, খোয়াই, ধর্মনগর, বিলোনিয়া পুর এলাকায় পুননির্বাচনের দাবিও তুলেছে বিরোধীরা। ইতিমধ্যে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস।
আরও পড়ুন – রাতভর গন্ডগোল, ত্রিপুরায় ভোট শুরু হতেই হিংসা-মারামারি
যদিও ত্রিপুরার শাসক দল বিজেপি ভোট-গুন্ডামির কথা মানেনি। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেব ঘনিষ্ঠ মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরীর কাছে সাধারণ মানুষ অভিযোগ জানাতে গেলে, তিনি ধমক দিয়ে চুপ করিয়ে দেন। বলেন, ‘বিজেপির গুন্ডাবাহিনী কিছু করলে তোমরা এখানে থাকতে পারতে? সাজানো কথা বলতে এসেছ।’