লখনউ: দল জিতেছে৷ মুখ্যমন্ত্রী জিতেছেন৷ কিন্তু মুখ্যমন্ত্রীর ডেপুটি হেরে গেলেন৷ ২০২২-এর উত্তরপ্রদেশ বিধানসভা নির্বাচনে এমনই অঘটন ঘটল৷ জনাদেশ কেশব চন্দ্র মৌর্যের পক্ষে গেল না৷
উত্তরপ্রদেশের উপমুখ্যমন্ত্রী ছিলেন তিনি৷ ভোটের আগে জল্পনা ছড়ায়, এবারে মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার দৌড়ে না কি কেশব চন্দ্র মৌর্য এগিয়ে ছিলেন৷ নির্বাচনের নির্ঘণ্ট ঘোষণার পর বিজেপি ছেড়ে একের পর এক নেতা যখন বেরিয়ে যাচ্ছিলেন, তখন বিক্ষুব্ধদের ক্ষোভ দূর করার দায়িত্ব শীর্ষ নেতৃত্ব তুলে দিয়েছিল কেশব চন্দ্র মৌর্যকে৷ সেই তিনি সিরাথু কেন্দ্রে সপা প্রার্থী পল্লবী পটেলের কাছে ৭ হাজারের বেশি ভোটের ব্যবধানে হেরে গেলেন৷ ফল ঘোষণার পর মানুষের রায় মেনে নেন যোগী মন্ত্রিসভার দু’নম্বর ব্যক্তি৷
উত্তরপ্রদেশে যোগী জিতলেও হিমালয়ের রাজ্য উত্তরাখণ্ডে হেরেছেন মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামি৷ তিনি খাটিমা বিধানসভা কেন্দ্র থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন৷ কংগ্রেসের ভুবন চন্দ্র কাপ্রির কাছে আশ্চর্যজনকভাবেই হেরে গিয়েছেন৷ ২০১৭-র বিধানসভা ভোটে এই ভুবন কাপ্রিকে হারিয়েছিলেন ধামি৷ গতবারের হারের বদলা নিলেন কাপ্রি৷ মুখ্যমন্ত্রী ঘনিষ্ঠ কৈলাস মানরল জানিয়েছেন, কেন এমন ফল হল তা বিশ্লেষণ করতে হবে৷ মুখ্যমন্ত্রীর হার কোনও নতুন ঘটনা নয়৷ কিন্তু দল যেখানে বিপুল ভোটে জিততে চলেছে সেখানে মুখ্যমন্ত্রীর হারের কারণ খোঁজা দরকার৷
আরও পড়ুন: Narendra Modi: নিরপেক্ষ তদন্ত হলেই পথে নেমে পড়ে কিছু লোক, বিরোধীদের আক্রমণ মোদির