লখনউ: ঠিক ছিল, নারকেল ফাটিয়ে রাস্তার উদ্বোধন করবেন বিজেপি বিধায়ক (BJP MLA)৷ যা তৈরিতে খরচ হয়েছে কোটি টাকা৷ পরিকল্পনা মতোই এগোচ্ছিল সব৷ নারকেল হাতে নিয়ে জোরে মাটিতে ছুড়ে মারেন বিধায়ক৷ তার পরই সামনে এল কেলেঙ্কারি৷ উদ্বোধনের আগেই নতুন রাস্তার (New Road Cracked) কালো পিচ ভেঙে বেরিয়ে এল নির্মাণ সামগ্রী৷ অথচ অক্ষত রইল নারকেলটি৷ যা দেখে বিরোধীদের টিপ্পনি, কেন্দ্রে ক্ষমতা ধরে রাখতে গেলে ২০২৪ সালে উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) রাস্তা হয়েই দিল্লি (Delhi) যেতে হবে বিজেপিকে৷ রাস্তা যত মসৃণ হবে, তাদের পক্ষে যাত্রা হবে ততই সুখকর৷ কিন্তু এমন ভাঙা-চোরা হলে মাঝ রাস্তায় আটকে যেতে পারে বিজেপির গাড়ি৷
এদিকে বিধানসভা ভোটের মুখে ১.১৬ কোটি টাকা খরচ করে তৈরি সেই রাস্তার উদ্বোধন গিয়ে বেজায় অস্বস্তিতে পড়েন বিজেপি বিধায়ক সুচি মৌসম চৌধুরী৷ ওই রাস্তা তৈরির দায়িত্বে ছিল সেচ দফতর৷ তাই সেচ দফতরের উপর বেজায় চটে যান সুচি মৌসম চৌধুরী৷ ফোন করে দফতরের আধিকারিকদের সেখানে আসতে বলেন৷ সে কারণে তিন ঘণ্টা তিনি সেখানেই ঠায় দাঁড়িয়ে থাকেন৷ আধিকারিকরা পৌঁছলে তাঁদের মৃদু ধমক দেন৷ অভিযোগ করেন, রাস্তা তৈরিতে এত খারাপ সামগ্রী ব্যবহার করা হয়েছে যে নারকেলও ফাটানো যায়নি৷ অথচ রাস্তায় ফাটল দেখা দিয়েছে৷ বিধায়কের অভিযোগের পরই আধিকারিকরা সেখান থেকে নমুনা সংগ্রহ করেন৷ নমুনা পরীক্ষায় খারাপ সামগ্রী ব্যবহারের অভিযোগ প্রমাণিত হলে বরাত পাওয়া সংস্থার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন বিধায়ক৷

সুচি মৌসম চৌধুরী বিজনৌরের বিধায়ক৷ তাঁর বিধানসভা কেন্দ্রেই ৭.৫ কিমি দীর্ঘ রাস্তা নতুন করে তৈরি করা হয়৷ কাজ শেষের পর এবার উদ্বোধনের পালা৷ আর উদ্বোধনে গিয়ে ঘটল বড় বিপত্তি৷ বিজেপি বিধায়ক বলেন, ‘আমাকে রাস্তা উদ্বোধনের জন্য ডাকা হয়েছিল৷ এখানে আসার পর আমার হাতে নারকেল দেওয়া হয়৷ ওই নারকেল ফাটিয়ে রাস্তা উদ্বোধন হওয়ার কথা ছিল৷ কিন্তু নারকেল ভাঙল না৷ রাস্তার কিছু অংশ ভেঙে গেল৷’ তিনি অভিযোগ করেন, রাস্তা নির্মাণে ঠিক ঠাক সামগ্রী ব্যবহার করা হয়নি৷ ঘটনাস্থলে দাঁড়িয়েই তিনি ফোন করেন জেলাশাসককে৷ ডেকে পাঠান সেচ দফতরের আধিকারিকদের৷ যদিও পরে সেচ দফতরের এক্সিগিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার বিকাশ আগরওয়াল দুর্নীতির অভিযোগ উড়িয়ে দেন৷ বলেন, অভিযোগ সঠিক নয়৷ ভুল বোঝাবুঝি দূর করতে জেলাশাসককে তদন্ত করে দেখতে বলা হয়েছে৷