ওয়েব ডেস্ক: সোমবার সন্ধ্যায় ভয়াবহ বিস্ফোরণে (Delhi Blast) কেঁপে ওঠে নয়াদিল্লির লালকেল্লা (Red Fort Blast) মেট্রো স্টেশন সংলগ্ন এলাকা। ব্যস্ত সময়ে পার্কিং লটে দাঁড়িয়ে থাকা একটি গাড়িতে আচমকা বিস্ফোরণ হয় বলে খবর, আর মুহূর্তের মধ্যেই আগুন ছড়িয়ে পড়ে পাশে থাকা আরও পাঁচটি গাড়িতে। বিকট শব্দে কেঁপে ওঠে গোটা এলাকা। এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ১৭ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে, আহত অন্তত কয়েক ডজন। আশঙ্কা করা হচ্ছে, মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। আর এই ঘটনাকে ঘিরে জঙ্গি নাশকতার (Terrorist Attack) সম্ভাবনার কথা ভাবছেন তদন্তকারীদের একাংশ।
বিস্ফোরণের পর তৎক্ষণাৎ ঘটনাস্থলে পৌঁছে যায় দমকল ও দিল্লি পুলিশের বিশাল বাহিনী। পরে যোগ দেয় ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি (NIA) ও ন্যাশনাল সিকিউরিটি গার্ড (NSG)-এর বিশেষ দল। প্রত্যক্ষদর্শীদের বক্তব্য, হঠাৎই এক বিকট শব্দ হয়, তারপর দেখা যায় আগুনের ফুলকি ছিটকে পড়ছে চারপাশে। মুহূর্তে আতঙ্কে ছুটোছুটি শুরু হয়। বিস্ফোরণের ধরণ ও ব্যবহৃত বিস্ফোরকের প্রকৃতি নির্ধারণে শুরু হয়েছে তদন্ত। প্রাথমিক অনুমান, এই হামলার নেপথ্যে কোনও জঙ্গি সংগঠনের হাত থাকতে পারে।
আরও পড়ুন: দিল্লিতে বিস্ফোরণ! কলকাতার প্রতি থানায় জারি সতর্কতা, কী পদক্ষেপ?
বিস্ফোরণের পর দিল্লি জুড়ে জারি হয়েছে হাই অ্যালার্ট (High Alert In Delhi)। বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে আশপাশের মেট্রো স্টেশন ও যান চলাচল। নিরাপত্তার স্বার্থে লালকেল্লা, চাঁদনি চক, জামা মসজিদ সহ পুরো কেন্দ্রীয় দিল্লিকে ঘিরে ফেলেছে নিরাপত্তা বাহিনী। একইসঙ্গে সতর্কতা জারি করা হয়েছে মুম্বই, কলকাতা, গুরুগ্রাম এবং উত্তরপ্রদেশ জুড়েও।
এদিকে, বিস্ফোরণের কয়েক ঘণ্টা আগেই ফরিদাবাদে এক ভাড়াবাড়িতে হানা দেয় রিয়ানা ও জম্মু-কাশ্মীর পুলিশের যৌথ বাহিনী। উদ্ধার হয় ৩৬০ কেজি বিস্ফোরক, বিপুল অস্ত্রশস্ত্র, ২০টি টাইমার, রিমোট এবং ওয়াকিটকি। সূত্রের দাবি, বাজেয়াপ্ত বিস্ফোরকের সঙ্গে পাকিস্তানি জঙ্গি সংগঠন জইশ-ই-মহম্মদ ও আনসার ঘাজওয়াত-উল-হিন্দ-এর যোগ পাওয়া গিয়েছে। এই ঘটনার পরেই দিল্লিতে বিস্ফোরণ ঘিরে বাড়ছে সন্দেহ।
দেখুন আরও খবর:







