তেলেঙ্গানা: কথায় আছে, ‘প্রকৃত ভালোবসার কখন মৃত্যু হয় না’। সেই সঙ্গে আবার স্বামীকে বলা হয় ‘পতি পরমেশ্বর’। অর্থাৎ স্বামী ঈশ্বরের সমতুল। সেই সকল তত্ত্বকেই যেন বস্তবের রূপ দিলেন পদ্মাবতী। মৃত স্বামীর নামে মন্দির গড়লেন তিনি। সেই সঙ্গে ওই মন্দিরে মূর্তি গড়ে নিয়মিত করহচে পূজার্চনা।
আরও পড়ুন- ত্রিপুরায় ‘খেলা শুরু’ তৃণমূলের, রাজনীতির ময়দানে মিডফিল্ডার প্রসূন-অর্পিতারা
ঘটনাটি দক্ষিণ ভারতের অন্ধ্রপ্রদেশের। ওই রাজ্যের প্রকাশম জেলার বাসিন্দা পদ্মাবতী। এক মাত্র ছেলে শিবশঙ্কর রেড্ডি-কে নিয়ে তাঁর সংসার। স্বামী আঙ্কি রেড্ডি প্রাণ হারিয়েছেন বছর খানেক আগে। ভয়াবহ এক দুর্ঘটনার কারণে প্রাণ হারাতে হয় তাঁকে। স্বামীর বিরহে কাতর হয়ে পড়েছিলেন স্ত্রী পদ্মাবতী। কিছুতেই ভুলতে পারছিলেন না প্রাণেরচেয়ে প্রিয় স্বামীকে।
আরও পড়ুন- কাবুলের অদূরে তালিবান, ভিডিও বার্তায় একজোট হয়ে লড়াইয়ের ডাক প্রেসিডেন্ট ঘানির
স্বামীকে ঈশ্বরের আসনে বসিয়েছিলেন পদ্মাবতী। বিধবা হয়ে যাওয়ার পরে মনে হচ্ছিল যে স্বয়ং ইশ্বর কাছ ছেড়ে চলে গিয়েছেন। এরপরে একদিন স্বপ্নাদেশ পেলেন সেই ঈশ্বরের। প্রয়াত স্বামী আঙ্কি রেড্ডি স্ত্রী পদ্মাবতীকে নির্দেশ দিলেন অন্দির গড়ে তাঁর পুজো করার জন্য। সেই স্বপ্নাদেশ পেয়ে কালবিলম্ব করেননি পদ্মাবতী। বাড়ির অদূরেই তৈরি করেছেন সুন্দর মন্দির। সেখানে আবার প্রতিষ্ঠা করেছেন স্বামীর মূর্তি।
পাথর দিয়ে মোজাইক করে তৈরি করা হয়েছে মন্দির। সেই সঙ্গে মূর্তি তৈরিতেই ব্যবহার করা হয়েছে দামী পাথর। স্বামী আঙ্কি রেড্ডির বন্ধু তিরুপতি রেড্ডি ওই মন্দির এবং মূর্তি নির্মাণে আর্থিক সাহায্য করেছেন। সেই সঙ্গে পুত্র শিবশঙ্কর রেড্ডিও সাধ্যমতো আর্থিক সাহায্য করেছেন বাবার নামে মন্দির নির্মাণের জন্য। নিয়মিত ওই মন্দিরে চলে প্রার্থণা এবং পুজো। দুই বেলা করে আরতীও করেন পদ্মাবতী। মায়ের ইচ্ছাপূরণ করতে নিজেকে গর্বিত মনে করেন শিবশঙ্কর।
আরও পড়ুন- অনলাইনে প্রতারণা ফাঁদ পেতে তোলাবাজি, শহরে গ্রেফতার দুই গুজরাতি
এই বিষয়ে পদ্মাবতী বলেছেন, “আমি আমার স্বামীকে ইশ্বর বলে মনে করতাম। এখন তাঁকে মন্দিরে প্রতিষ্ঠা করতে পেরে এবং পুজো করে আমি ধন্য।” নিয়মিত ওই মন্দিরে বেশ ভালোই ভক্তসমাগত শুরু হয়েছে বলে দাবি করেছেন তিনি। পদ্মাবতীর কথায়, “স্থানীয় একটা মন্দিরে আমার স্বামী ১৩ বছর কাজ করেছেন। সেই কারণে ইশ্বর বিশ্বাসী মানুষেরা ওনাকে চেনেন। সেই সুবাদেই তাঁর মন্দিরেও অনেক ভক্ত আসেন। অংশ গ্রহণ করেন পুজো এবং প্রার্থণায়।”