নয়াদিল্লি: রাজধানীর যন্তর-মন্তরে সত্যাগ্রহ আন্দোলনের অনুমতি চেয়ে সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) আবেদন করেছিল কিষাণ মহাপঞ্চায়েত (Kisan Mahapanchayat)৷ কিন্তু অনুমতির বদলে জুটল তিরষ্কার৷ শীর্ষ আদালত জানিয়েছে, হাইওয়ে বন্ধ করে আপনারা দিল্লির গলা টিপে ধরেছেন৷ এবার শহরের ভেতর ঢুকে সত্যাগ্রহ (Satyagraha) করতে চাইছেন?
আরও পড়ুন: মোদি প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পরই ‘লাভবান’ গুজরাত, সাত বছরে কেন্দ্রীয় বরাদ্দ বেড়েছে ৩৫০ শতাংশ
কেন্দ্রের বিতর্কিত তিনটি কৃষি আইন প্রত্যাহারের দাবিতে গত বছরের নভেম্বর থেকে আন্দোলনে নেমেছেন কৃষকরা৷ কিছুদিন আগে তাঁরা ভারত বনধ পালন করেন৷ কৃষকদের ভারত বনধের প্রভাব দিল্লি, পঞ্জাব এবং হরিয়ানার মত রাজ্যগুলিতে বেশি পড়তে দেখা যায়৷ তাঁদের আন্দোলনের জেরে গাড়ি চলাচল স্তব্ধ হয়ে গিয়েছিল দিল্লি-গুরুগ্রাম সীমান্তে৷ এবার কৃষকরা যন্তর-মন্তরে সত্যাগ্রহ আন্দোলন করতে চান৷ আর সেই অনুমতি পেতে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন প্রতিবাদীরা৷
আদালতকে কৃষকরা জানান, যন্তর-মন্তরে ২০০ জন কৃষক শান্তিপূর্ণভাবে বিক্ষোভ দেখাবেন৷ তাঁদের যেন সেখানে বসার অনুমতি দেওয়া হয়৷ যা শুনে কৃষক সংগঠনকে ভর্ৎসনা করে বিচারপতি এএম খানউইলকর এবং বিচারপতি সি টি রবিকুমারের বেঞ্চ৷ বিচারপতিরা বলেন, গোটা শহরের গলা টিপে ধরার পর এখন দিল্লির ভেতর ঢুকতে চাইছেন? এখানকার বা আশেপাশের বাসিন্দারা আপনাদের আন্দোলনে কি খুশি? আপনারা জাতীয় সড়ক বন্ধ করে দিচ্ছেন আর বলছেন এটা শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ৷ নাগরিকদের সম্পত্তির ক্ষতি হচ্ছে৷ আপনাদের জন্য নিরাপত্তা বিঘ্নিত হচ্ছে৷ নিরাপত্তা কর্মীদেরও আপনারা আটকাচ্ছেন৷ এবার এসব বন্ধ করা উচিত৷ আপনাদের যদি আদালতের উপর ভরসা থাকে তাহলে প্রতিবাদ-বিক্ষোভ ছেড়ে জরুরি ভিত্তিতে শুনানির আবেদন করুন৷ আপনারা কী বিচারব্যবস্থার বিরুদ্ধেও প্রতিবাদ করছেন?
আরও পড়ুন: গোয়ার পর মেঘালয়, হাত ছেড়ে ঘাসফুলে মুকুল? জল্পনা তীব্র
জবাবে কৃষকদের আইনজীবী বলেন, আমরা কোথাও জাতীয় সড়ক অবরুদ্ধ করিনি৷ পুলিশই আন্দোলনকারীদের আটকে রেখে অচলাবস্থা তৈরি করেছিল৷ সেটা শুনে আদালত জানায়, তাহলে আপনারা হলফনামা দিয়ে বলুন যে আপনারা জাতীয় সড়ক অবরুদ্ধ করে বিক্ষোভ দেখাননি৷