নয়াদিল্লি: শনিবার ফেসবুক পোস্টে দাবি করেছিলেন, সাংসদ পদ ছাড়তে চলেছেন৷ রাজনৈতিক সন্ন্যাস নেওয়ার কথাও ঘোষণা করেছিলেন। তবে দু’দিনের মধ্যে পুরো ১৮০ ডিগ্রি ঘুরে গেলেন আসানসোলের সাংসদ তথা প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়। সোমবার বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডার সঙ্গে বৈঠকের পর বাবুল জানান, রাজনীতি ছাড়ছেন। তবে আসানসোলের সাংসদ পদ ছাড়ছেন না। বাবুলের দাবি, আসানসোলের মানুষের কাছ থেকেও বার্তা পেয়েঞ্ছেন। ওখানকার মানুষ চাইছেন তিনি সাংসদ থাকুন।
আরও পড়ুন: বাবুল ভালো ছেলে, সাংসদ পদ ছাড়লে অনেক কথা বলব: অনুব্রত
শনিবার বিশাল এক ফেসবুক পোস্টে বাবুল জানান, রাজনীতি ছাড়তে চলেছেন তিনি। সাংসদ পদ থেকেও ইস্তফা দেবেন। বাবুলের এই পোস্টে গেরুয়া শিবিরে তোলপাড় পড়ে যায়। ওই দিন রাতেই তাঁকে ফোন করেন জেপি নাড্ডা। তড়িঘড়ি দিল্লি ডেকে পাঠান বাবুলকে। সোমবার নাড্ডার (J P Nadda) বাড়িতে বাবুল আসেন। বেশ কিছুক্ষণ আলোচনা হয় তাঁদের। সেখান থেকে বেরিয়ে এসে বাবুল বলেন, রাজনীতিক বাবুলকে আর দেখবেন না। আসানসোলের সাংসদ হিসেবে থেকে যাব। আসানসোলবাসীর প্রতি দায়িত্ব পালন করব।’
আরও পড়ুন: বিক্ষুব্ধ বাবুলকে গুরুত্ব দিতে নারাজ তৃণমূল
বাবুল জানিয়েছেন, সাংসদ হিসেবে আসানসোলের উন্নতিতে কাজ চালিয়ে যাবেন। সেখানে যে সমস্ত প্রকল্প চলছে তা দেখভাল করবেন। তবে রাজনৈতিক কোনও অনুষ্ঠানে বা দলীয় কর্মসূচিতে তিনি থাকবেন না। সরকারি বাংলো ও কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্তে অনড় থাকছেন বাবুল। তিনি বলেন, ‘দিল্লির বাংলো ও সিআরপিএফ ছেড়ে দেব। আমার বিকল্প আয় নেই। তাই সাংসদ হিসেবে বেতন নেব।’ রাজনীতি ছাড়াও কারণ জানতে চাওয়া হলে বাবুল অবশ্য কিছু খোলসা করেননি। তবে স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দিয়েছেন, রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে থাকবেন না।
আরও পড়ুন: সাংসদ পদ থেকে ইস্তফার ঘোষণা, রাজনীতি ছাড়ছেন ‘অভিমানী’ বাবুল
কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর পদ ‘কেড়ে’ নেওয়ার পর থেকে শীর্ষ নেতৃত্বের উপর অভিমান-ক্ষোভ চেপে রাখেননি বাবুল সুপ্রিয়৷ শনিবারের ফেসবুক পোস্টেও সেটা উল্লেখ করেন তিনি৷ বাবুল লেখেন, ‘প্রশ্ন উঠবেই কেনই বা রাজনীতি ছাড়তে গেছিলাম? মন্ত্রিত্ব চলে যাওয়ার সাথে তার কি কোনো সম্পর্ক আছে? হ্যাঁ আছে-কিছুটা তো নিশ্চয় আছে!’ এদিকে বাবুলের সাংসদ পদে থেকে যাওয়ার সিদ্ধান্তকে কটাক্ষ করেছেন তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। তিনি বলেন, ‘পুরোটাই কাঁচা হাতের চিত্রনাট্য। কী ঘটতে চলেছে, তা আগে থেকেই স্পষ্ট ছিল।’