কলকাতা টিভি ওয়েব ডেস্ক: শুক্রবার রাজ্যসভার ১৬টি আসনের ভোট। সেই ভোট ঘিরে কংগ্রেস এবং বিজেপির মধ্যে তৎপরতা তুঙ্গে। মোট ৫৭টি আসন শূন্য ছিল। তার মধ্যে ৪১টি আসনে বিভিন্ন দলের প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জিতে গিয়েছেন। ফলে ভোট হবে বাকি ১৬টি আসনে।
কংগ্রেসের আশঙ্কা, বিজেপি ইতিমধ্যেই দল ভাঙাভাঙির খেলায় নেমে গিয়েছে। তাই হরিয়ানার কংগ্রেস বিধায়কদের নিয়ে যাওয়া হয়েছে কংগ্রেস শাসিত ছত্তীশগড়ের রায়পুরে। সেখানকার এক হোটেলে কংগ্রেস বিধায়কদের রাখা হয়েছে। হরিয়ানার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী এবং প্রবীণ কংগ্রেস নেতা ভূপেন্দ্র সিং হুডা বুধবার রায়পুরে গিয়ে দলীয় বিধায়কদের সঙ্গে কথা বলে এসেছেন। তাঁর দাবি, কংগ্রেস বিধায়করা ঐক্যবদ্ধ আছেন। তবু বিজেপি টাকার বিনিময়ে বিধায়ক ভাঙানোর চেষ্টা করে যাচ্ছে। রাজস্থানেও দল ভাঙার আতঙ্কে ভুগছে কংগ্রেস। রাজস্থানে কংগ্রেসের তিনজন প্রার্থী রয়েছেন। বিজেপি যদি বিধায়ক ভাঙাতে পারে, তবে কংগ্রেসের তিন প্রার্থীর মধ্যে একজনের হেরে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
রাজস্থানে কংগ্রেসের তিন প্রার্থীকে জিতিয়ে আনার পরিকল্পনায় জল ঢেলে দিতে বিজেপি বিশিষ্ট উদ্যোগপতি এবং একটি বেসরকারি চ্যানেলের কর্ণধার সুভাষচন্দ্রকে সমর্থন করছে। বিজেপির নেতারা এবং সুভাষচন্দ্র তলে তলে রাজস্থানের বিক্ষুব্ধ কংগ্রেস নেতা সচিন পাইলটের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন বলে কংগ্রেসের অভিযোগ। সচিন অবশ্য দাবি করেন, রাজস্থানে কংগ্রেসের তিন প্রার্থীই জিতবেন।
আরও পড়ুন: Anubrata Mondal: গরু পাচার কাণ্ডে অনুব্রত মণ্ডলের দেহরক্ষী গ্রেফতার
একইভাবে মহারাষ্ট্রেও শিবসেনা, এনসিপি এবং কংগ্রেসের জোট ভাঙার জন্য আসরে নেমেছে বিজেপি। শিবসেনা প্রধান এবং মুখ্যমন্ত্রী উদ্ভব ঠাকরে, এনসিপির শরদ পাওয়ার এবং কংগ্রেসের মল্লিকার্জুন খাড়গে শাসকজোটের সব বিধায়কের সঙ্গে বৈঠক করেন। মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মন্ত্রী অনিল দেশমুখ এবং মন্ত্রী নবাব মালিক দুর্নীতির দায়ে আপাতত জেলে। রাজ্যসভা ভোটের জন্য তাঁরা একদিনের জামিনের আবেদন জানিয়েছেন আদালতে। কিন্তু বৃহস্পতিবার আদালত সেই আবেদন খারিজ করে দিয়েছে। সব মিলিয়ে শুক্রবার রাজ্যসভার নির্বাচন বেশ জমে উঠবে বলে পর্যবেক্ষক মহলের ধারণা।