কলকাতা: বনগাঁ দক্ষিণ বিধানসভা কেন্দ্রের রায় পুনর্বিবেচনা করতে গিয়ে বাংলাদেশের নাগরিকত্ব নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে প্রশ্নের মুখে পড়েন তৃণমূল প্রার্থী আলোরানি সরকার৷ বাংলাদেশের নাগরিক হয়েও কীভাবে তিনি ভারতের নির্বাচনে প্রতিনিধিত্ব করলেন তা খতিয়ে দেখার নির্দেশ নির্বাচন কমিশনকে দিয়েছে আদালত৷ স্বাভাবিকভাবেই এই নির্দেশ মনঃপুত হয়নি আলোরানির৷ অসন্তোষ প্রকাশ করে সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, রায়কে তিনি চ্যালেঞ্জ জানাবেন৷
তবে আলোরানি মেনে নিয়েছেন বাংলাদেশে তাঁর পৈতৃক সম্পত্তি আছে৷ কিন্তু তিনি এদেশেরই নাগরিক৷ বনগাঁর ওই নেত্রীর কথায়, ‘১৯৬৯ সালে আমি জন্মেছি৷ ভারতেই আমার জন্ম৷ ১৯৭১ সালে আমার পরিবার হুগলির বৈদ্যবাটিতে চলে যায়৷ বাংলাদেশে আমাদের পৈতৃক সম্পত্তি আছে৷’ হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চের রায়কে তিনি মানছেন না বলে সাফ জানিয়ে দেন৷ বলেন, ‘আমি ডিভিশন বেঞ্চে যাব৷’
একুশের নির্বাচনে বনগাঁ দক্ষিণ কেন্দ্রে তৃণমূল টিকিটে ভোটে দাঁড়ান আলোরানি৷ কিন্তু নির্বাচনে তিনি হেরে যান৷ জয়ী হন বিজেপির স্বপন মজুমদার৷ ভোটের ফলাফল পুনর্বিবেচনার দাবিতে আদালতের দ্বারস্থ হন তৃণমূল প্রার্থী৷ মামলাটি ওঠে বিচারপতি বিবেক চৌধুরীর এজলাসে৷ আলোরানির পাসপোর্ট, ভোটার কার্ড, প্যান কার্ড ও আধার কার্ড দেখে বিচারপতি কড়া প্রতিক্রিয়া দেন৷ গত ২০ মে বিচারপতি জানান, আবেদনকারী জন্মসূত্রে নিজেকে ভারতের নাগরিক বলে দাবি করেছেন৷ কিন্তু তদন্ত রিপোর্ট বলছে, তাঁর বাবা-মা বাংলাদেশে থাকতেন৷ তিনি এক কাকুর সঙ্গে ছোটবেলায় ভারতে আসেন৷ যার অর্থ আবেদনকারীর জন্ম বাংলাদেশে৷