কলকাতা: রবিবার পুনরায় তৃণমূলে যোগ দিলেন সোমেন পত্নী শিখা মিত্র। তৃণমূল কংগ্রেসের বঙ্গজননী শাখায় ফিরছেন শিখা মিত্র। তাঁর কংগ্রেস ত্যাগে আগামিদিনে সোমেন অনুগামীদের মধ্যে কী প্রতিক্রিয়া হবে তা সময়ই বলবে।
আরও পড়ুন- দেশ-কাল সীমানা ছাড়িয়ে মাঝ আকাশেই কোলে এল ফুটফুটে হেবা
বেশ কিছুদিন আগে অধীর চৌধুরীকে চিঠি দিয়ে পদত্যাগের কথা জানিয়েছিলেন সোমেন-পুত্র রোহন। সে সময়ে শিখা মিত্র বলেছিলেন, মমতাই একমাত্র বিজেপি বিরোধিতার প্রধান মুখ। তারপর থেকেই শিখা-রোহনের ঘাসফুলে যোগ দেওয়ার গুঞ্জন শুরু হয়েছিল। এদিনও তৃণমূলে যোগদিয়ে আগের দাবিতে অনড় রইলেন শিখা। তিনি বলেন, বিজেপি থাকলে ভবিষ্যত অন্ধকার। তাদের বিরুদ্ধে লড়াই করে দেখিয়েছে মমতা৷
আরও পড়ুন-চুরির অভিযোগে ট্রাকের সঙ্গে বেঁধে হিঁচড়ে শাস্তি, হাসপাতালে মৃত্যু আদিবাসী যুবকের
তিনি আরও বলেন, আমি এতদিন বাড়িতেই ছিলাম৷ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আমায় দলে ডেকেছেন৷ মমতা ছাড়া আর কেউ নেই৷ উনি ভোটে কী করে হারলেন আমি সত্যিই বুঝতে পারিনি৷ মমতা সাধারণ ভাবে থাকেন৷ সাধারণের জন্য করেন৷ বিজেপিতে যাওয়ার কোনও প্রশ্নই ওঠে না৷ ওরা সাম্প্রদায়িক৷ কেন্দ্রে ক্ষমতায় আছে৷ কিন্তু, কিছুদিন পর দলটার আর অস্তিত্ব থাকবে না৷
আরও পড়ুন-ভারতকে বেকায়দায় ফেলতে তালিবানের জন্ম দিয়েছে পাকিস্তান: প্রাক্তন আফগান মন্ত্রী
শিখা মিত্রকে ফোন করেছিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সে বিষয়ে সোমেন পুত্র বলেছিলেন, বাবার বাৎসরিক কাজের দিন বলেই ফোন করেছিলেন মমতা। তৃণমূলে যোগ দেওয়ার কোনও প্রসঙ্গ নেই। শিয়ালদা কেন্দ্র থেকে ২০০৯ সালে প্রথম বিধায়ক হন। সোমেন মিত্রের ছেড়ে আসা আসনে উপ-নির্বাচনে জয়ী হয়েছিলেন। তারপর ২০১১ সালে চৌরঙ্গী বিধানসভা থেকে বিধায়ক নির্বাচিত হন। মেয়াদ শেষ হবার আগেই ২০১৪ সালে তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে মতবিরোধের কারণে তৃণমূল কংগ্রেস ত্যাগ করেন। ২০২১ বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির পক্ষ থেকে তাঁকে চৌরঙ্গী কেন্দ্রে বিধায়ক পদপ্রার্থী করা হয়। কিন্তু, নীতি এবং আদর্শের কথা বলে বিজেপিকে প্রত্যাখ্যান করেন।
আরও পড়ুন-নাবালক আবাসিকদের যৌন নির্যাতন, সোনারপুরের ছাত্রাবাস থেকে গ্রেফতার ২
আগেই প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়ের পুত্র অভিজিৎ মুখোপাধ্যায় কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে এসেছেন। এ বার আর এক অভিজ্ঞ কংগ্রেস নেতার স্ত্রী ফের তৃণমূলে যোগ দিলেন।