কলকাতা: ’১৯ এ হাফ,২১ এ সাফ’ স্লোগান দেওয়া বঙ্গ বিজেপির (BJP) অবস্থান কী? বর্তমানে সেই প্রশ্নই জোরালো হতে শুরু করল৷ কারণ, একুশের বিধানসভা ভোটে ক্ষমতায় আসতে পারেনি তারা৷ পুরভোটে (Municipal Election) বিজেপির (BJP) আরও শোচনীয় ফল৷ এই নিয়ে বঙ্গ বিজেপির অন্দরে চরম বিদ্রোহ চলছে৷ কী কারণে এই ফল তা নিয়ে কাটাছেড়া চলছে৷ আর তাকে ঘিরেই দলের অন্দরের ক্ষোভ প্রকাশ পাচ্ছে বারবার৷ রাজ্যের নেতারা পরস্পরকে আক্রমণ করছেন৷ যা নিয়ে বিরোধী রাজনৈতিক দল থেকে সাধারণ মানুষের মধ্যে হাসিঠাট্টা কম হচ্ছে না৷ এরকম পরিস্থিতি রবিবার ফের তোপ দাগেন তথাগত রায় (Tathagata Roy)৷ তাঁর প্রশ্ন, ‘‘আর কত রসাতলে পৌঁছবে বঙ্গ বিজেপি?’’
পুরভোটের বামেদেরও পরে স্থান পেয়েছে বিজেপি৷ কী কারণ এই অবস্থা জানতে, আত্মবিশ্লেষণের আহ্বান জানিয়েছিলেন দলের সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায় (Locket Chatterjee)। তাঁকে কটাক্ষ করেন দলের সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। পাল্টা টুইট করে কৈলাশ বিজয়বর্গীয়-দিলীপ ঘোষদের কড়া আক্রমণ করেন বিজেপি নেতা তথাগত রায়৷ সোমবারও একই বিষয়ে সংবাদ মাধ্যমের কাছে মুখ খোলেন তিনি৷ দলীয় নেতাদের একের পর এক কদর্য ভাষায় আক্রমণ করেন৷ ‘আত্মসমীক্ষা’র মানে বুঝতে শিক্ষাদীক্ষা দরকার হয় বলেও দলীয় নেতাদের আক্রমণ করেন তিনি৷
এ দিন তিনি বলেন, বিধানসভা ভোটে বিপর্যয়ের পরে নিজেদের ভুল স্বীকার না করেই উল্টোপাল্টা কথা বলা হচ্ছে৷ তারপরে পুরভোটে একই অবস্থা৷ পার্টির হাল আরও খারাপ হল৷ নামতে নামতে রসাতলে পৌঁছচ্ছে৷ আর কত রসাতলে পৌঁছবে কে জানে?’’ ৩০ বছর ধরে বিজেপির সঙ্গে যুক্ত থাকার প্রসঙ্গ তুলে তথাগতর আরও বক্তব্য, ‘‘৩০ বছর ধরে দল করছি৷ সক্রিয় নেতাদের ভুলের কারণে বিপর্যয় ঘটলে খারাপ লাগে৷’’
সোমবার হুগলির সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায় বহিষ্কৃত তিন বিজেপি নেতার সঙ্গে বৈঠক করেন৷ যা নিয়ে দলের লোকজনই প্রশ্ন তুললে শুরু করেছেন৷ সে বিষয়েও মুখ খোলেন তথাগত রায়৷ নাম না করে কৈলাশ-দিলীপদের আক্রমণ করে তিনি বলেন, ‘‘ কামিনী কাঞ্চন ঘটিত কারণে দলে পচন ধরেছিল৷ বিচ্যুতি ঘটেছে৷ পচনের কুফলের কারণে লকেট আজ বৈঠক করেছেন৷ ’’
আরও পড়ুন-Russia-Ukraine War Live: দেশে ফিরলেন কিভে গুলিবিদ্ধ হরজ্যোৎ সিং
দলের অভ্যন্তরের কথা প্রকাশ্যে বলা নিয়েও ক্ষোভ প্রকাশ করেন তথাগত৷ তিনি বলেন, ‘‘ভোটের আগে একাধিকবার দলের অভ্যন্তরে সমস্যার কথা জানিয়েছি৷ আমি নিজে পাঁচবার লিখিত দিয়েছি৷ তারপরও কোনও সংশোধন তো দূরের কথা, আলোচনাই হয়নি৷ ’’ এরপরেই ‘১৯ হাফ,২১ সাফ’ স্লোগানের বিষয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন৷ তিনি বলেন, ‘‘ভোটের আগে যারা বলেছিল, দলের বিরুদ্ধে মুখ খুললে মেরে দেব৷ পুঁতে দেব৷ শুইয়ে দেব…তাঁরা কোথায়? নিজেদের ভুল স্বীকার করবে না?’’