কলকাতা: দলের শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বৈঠকের কয়েক ঘণ্টা পরই তৃণমূলের ফেসবুক পেজ থেকে সরিয়ে নেওয়া হল পুরভোটের ‘বিতর্কিত’ প্রার্থী তালিকা। সেই তালিকা, যে তালিকা প্রকাশের কিছুক্ষণের মধ্যে দলের তৎকালীন মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় দাবি করেন, ওই তালিকা দলের অনুমোদিত তালিকা নয়। সপ্তাহ খানেক আগে তৃণমূলের সাংবাদিক বৈঠকের পর দলের সোশাল মিডিয়া হ্যান্ডেল ও ওয়েবসাইটে ওই প্রার্থী তালিকা আপলোড করা হয়। এর পরই নাটকের শুরু।
সংবাদমাধ্যমে পার্থবাবু জানিয়ে দেন, দলের ফেসবুক পেজে প্রকাশিত তালিকা সঠিক নয়। কারণ ওই তালিকায় কোনও স্বাক্ষর নেই। তৃণমূলের তরফে জানানো হয়, একমাত্র সুব্রত বক্সি এবং পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সই করা তালিকাই আসল। জেলায় জেলায় সেই তালিকা পাঠানোও হয়। তালিকার প্রতিটি পাতায় দলের তৎকালীন রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সী এবং মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের স্বাক্ষর। সঙ্গে দলীয় রবার স্ট্যাম্প। সেই তালিকা মেনেই মনোনয়ন জমা দেন প্রার্থীরা।
কিন্তু তৃণমূলের ফেসবুক পেজে থেকেই যায় পুরনো তালিকা। সেই নিয়ে বিতর্কও শুরু হয়। যদিও তৃণমূল নেতৃত্বের তরফে পুরনো তালিকা নিয়ে কোনও মন্তব্য করা হয়নি। ফিরহাদ হাকিম অভিযোগ করেন, ফেসবুকের অ্যাকাউন্টের পাসওয়ার্ডের অপব্যবহার করে প্রথম তালিকা প্রকাশ করা হয়েছিল। নাম না করে প্রশান্ত কিশোরের সংস্থা আইপ্যাকের বিরুদ্ধে তোপ দাগেন তিনি। এর জেরে জল্পনা ছড়ায়, পিকের সংস্থা আইপ্যাকের সঙ্গে তৃণমূলের সম্পর্ক ছিন্ন হতে চলেছে।
আরও পড়ুন: Exclusive: তৃণমূলের টুইটার হ্যান্ডেল সক্রিয় ৮ দিন পর, ডিলিট করা হল ‘বিতর্কিত’ প্রার্থিতালিকা
এরই মধ্যে শনিবার পার্টির অস্থায়ী ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠক ডাকেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ওই বৈঠকের অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় দীর্ঘক্ষণ আলাদা ভাবে কথা বলেন মমতা। মনে করা হচ্ছে, ওই বৈঠকেই ফেসবুক পেজ থেকে তালিকা সরিয়ে নেওয়ার ব্যাপারে কথা হয়। ভবিষ্যতে কোনও বিতর্ক এড়াতে তৃণমূলের মিডিয়া কো-অর্ডিনেটরের দায়িত্ব দেওয়া হয় কুণাল ঘোষ, চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য এবং অরূপ বিশ্বাসকে।