কলকাতা: সামনেই পুরভোট রাজ্যে৷ সেই ভোটে রাজ্যের প্রতিটি পুরসভা ও পুরনিগমে তৃণমূল কংগ্রেসের জয় নিশ্চিত করতে হবে৷ প্রয়োজনে ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে ছোটও ছোটও কর্মীসভা-আলোচনা সভা করতে হবে৷ কিন্তু, কোনও ভাবেই রাজ্যের ১১৬টি পুরসভা ও পুরনিগম হাত ছাড়া করা যাবে না৷ রবিবার বিজয় সম্মিলনীর অনুষ্ঠানে উপস্থিত দলীয় নেতা-কর্মীদের এমনটাই নির্দেশ দিলেন তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ তথা দলের প্রাক্তন সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক সুব্রত বক্সী৷
এ দিন কলকাতার সুবোধ মল্লিক স্কোয়ারে ‘স্বপ্নপূরণ’ কমিউনিটি হলে বিজয় সম্মিলনীর আয়োজন করেছিল রাজ্য তৃণমূলের লিগ্যাল সেল৷ আইনমন্ত্রী মলয় ঘটকের তত্ত্বাবধানে এই সভার আয়োজন হয়৷ উপস্থিত ছিলেন পরিবহন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম, শিল্প মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়,বিধায়ক দেবাশিস কুমার, বৈশ্বানর চট্টোপাধ্যায় প্রমুখ৷ বিজয় সম্মিলনীর পাশাপাশি প্রয়াত রাজ্যের প্রাক্তন পঞ্চায়েত মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের স্মরণসভাও হয়৷ এই সভায় সুব্রতবাবুর স্মরণে নিজেদের বক্তব্য পেশ করার পাশাপাশি তৃণমূলের নেতা-মন্ত্রীরা আসন্ন পুর-নির্বাচনের কৌশল ঠিক করেন৷
সাংসদ সুব্রত বক্সী বলেন, ‘বিজয় সম্মিলনী মানে নতুন করে শুরু৷ আসন্ন পুরনির্বাচনেও আমাদের প্রস্তুত থাকতে হবে৷ আমি চাই ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে ছোটও করে সভা হোক৷ যেখানে আসন্ন নির্বাচন নিয়ে আলোচনা হবে৷ ১১৬টা পুরসভা ও পুরনিগমে আমরা সফল হব৷ দলকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ায় আমাদের লক্ষ্য৷’
আরও পড়ুন-‘বেঁচে থাকতে হাওড়ায় ঢুকতে দেব না…’ দলীয় সভায় দলবদলু রাজীবকে আক্রমণ প্রসূনের
পরিবহন মন্ত্রী তথা কলকাতা পুরসভার প্রশাসক মণ্ডলীর প্রশাসক ফিরহাদ হাকিম বলেন, ‘এখন আমরা যেখানেই যাচ্ছি সেখানেই তৃণমূল৷ কিন্তু, এটা নিয়ে অহংকার করলে চলবে না৷ করলেই পতন হবে৷ আমাদের সকলকে নিয়ে চলতে হবে৷ আমরা শাসক, একই সঙ্গে সেবক৷ এটা মাথায় রেখেই লক্ষ্য পূরণে এগতে হবে৷’