গঙ্গাসাগর: ১৮ই জানুয়ারি গঙ্গাসাগর মেলার (Gangasagar Mela 2024) উদ্বোধন করেছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আগামী সপ্তাহের শুরুতেই মকরস্নানের পুণ্য তিথি। ইতিমধ্যে দশর্নাথীদের ঢল নেমেছে সাগরে। শনিবার দুপুর বারোটা পর্যন্ত ৪৫ লক্ষ পণ্যার্থী গঙ্গাসাগরে রেখেছেন দাবি দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা প্রশাসনের। শনিবার বিকেলে গঙ্গাসাগরের মেলা অফিসে একটি সাংবাদিক বৈঠক করে রাজ্যের মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসসে ঘোষণা করলেন। সাংবাদিক সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রী শোভন দেব চট্টোপাধ্যায়, মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস, মন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তী, ও মন্ত্রী পার্থ ভৌমিক, সুন্দরবন উন্নয়ন মন্ত্রী বঙ্কিম হাজরা, মন্ত্রী সুজিত বসু সহ দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা শাসক সমীর গুপ্তা এবং সুন্দরবন পুলিশ জেলার পুলিশ সুপার কোটেশ্বর রাও।
এদিনের সাংবাদিক বৈঠকে অরূপ বিশ্বাস জানান, ৯ জানুয়ারি থেকে ১৭ জানুয়ারি পর্যন্ত গঙ্গাসাগর মেলায় আগত তীর্থযাত্রীদের জন্য মাথাপিছু পাঁচ লক্ষ টাকার বিমা ঘোষণা করেছে রাজ্য সরকার। এই পরিষেবা সরকারি কর্মী, পুলিশ কর্মী, স্বাস্থ্যকর্মী, সাংবাদিক, পরিবহন কর্মী এবং স্বেচ্ছাসেবীদের ও এই বিমান আওতায় রাখা হয়েছে। এছাড়া কপিলমুনি আশ্রম সহ মেলা চত্বরকে সুন্দরভাবে সুসজ্জিত করে তোলা হয়েছে নতুন করে। নজরদারি থেকে নিরাপত্তা, সবেতেই বিশেষ তৎপর রাজ্য প্রশাসন। ওয়াচ টাওয়ার, সিসিটিভি, ড্রোনের মাধ্যমে চালানো হচ্ছে নজরদারি। স্নানের সময় দুর্ঘটনা রুখতে তৈরি রাখা হয়েছে সিভিল ডিফেন্স ও অনডিআরএফকে।
আরও পড়ুন: রামমন্দিরের উদ্বোধনে যাবেন না পুরীর শঙ্করাচার্য
এছাড়াও নতুন পাকা রাস্তা, স্ট্রিটলাইট, তীর্থযাত্রী নিবাস, পানীয় জলের ব্যবস্থা ও দশ হাজারেরও বেশি শৌচালয় গড়ে তোলা হয়েছে গঙ্গাসাগর প্রাঙ্গনে। এবারের মেলায় পূণ্যার্থীদের জন্য ২২ টি জেটি তৈরি করা হয়েছে। তীর্থযাত্রীদের চলাচলের স্বার্থে আড়াই হাজার বাস, ছটি বার্জ,৩৮ টি ভেসেল ও ১০০ টি লঞ্চের ব্যবস্থা করা হয়েছে। পাশাপাশি ঘন কুয়াশায় তীর্থযাত্রীদের যেতে নিরাপদে পারাপারের জন্য মুড়িগঙ্গা নদীতে থাকা বিদ্যুতের টাওয়ারে এবং যেটিতে শক্তিশালী কুয়াশা ভেদে আলোর ব্যবস্থা করা হয়েছে। প্রতিটি যানবাহন এবং ভেসেল লঞ্চকে জিপিএস ট্র্যাকিং এর সাহায্যে নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে। পুণ্যার্থীদের সুরক্ষার স্বার্থে ১৪ হাজারেরও বেশি পুলিশ কর্মী মোতায়েন করা হয়েছে গঙ্গাসাগর প্রাঙ্গনে। ২৪০০ জন সিভিল ডিফেন্সের স্বেচ্ছাসেবক ও অসামরিক প্রতিরক্ষা দফতরের জল প্রহরী তীর্থযাত্রীদের নিরাপত্তার স্বার্থে প্রতিমুহূর্তে সজাগ রয়েছেন গঙ্গাসাগর প্রাঙ্গনে।
এছাড়াও যে সমস্ত পূণ্যার্থী গঙ্গাসাগরে আসতে পারছেন না তাদের জন্য কপিলমুনি মন্দিরের প্রসাদ এবং পবিত্র গঙ্গাজল অনলাইন বুকিংয়ের মাধ্যমে বাড়িতে বসেই যাতে তারা পেতে পারেন তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এবছর মকর সংক্রান্তির পূর্ণ স্নান রবিবার রাতে ১২-১৩ মিনিট থেকে শুরু করে সোমবার রাত্রি ১২-১৩ মিনিট পর্যন্ত চলবে বলে ও প্রশাসনের তরফ থেকে জানানো হয়েছে।
অন্য খবর দেখুন: