নয়াদিল্লি: সপ্তম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির স্কুলপাঠ্যে (School Curriculum) আসতে চলেছে রামায়ণ-মহাভারত (Ramayana and Mahabharata)। এনসিইআরটি-র (NCERT) বিশেষজ্ঞ প্যানেল এই সুপারিশ করেছে। এনসিইআরটি গতবছর একটি উচ্চপর্যায়ের কমিটি গঠন করেছিল। সমাজ বিজ্ঞানের (Social Sciences) সিলেবাস পুনর্বিবেচনার জন্য বলা হয়েছিল কমিটিকে। মঙ্গলবার কমিটির চেয়ারপার্সন সি আই আইজ্যাক (CI Issac) বলেন, পাঠ্যবইয়ে রামায়ণ-মহাভারত অন্তর্ভুক্ত করার সুপারিশ করা হয়েছে। এছাড়া, শ্রেণিকক্ষের দেওয়ালে সংবিধানের প্রস্তাবনা (Preamble of the Constitution) লেখার সুপারিশও করা হয়েছে।
সমাজ বিজ্ঞানের পাঠ্যক্রম পরিবর্তনের জন্য গতবছর সাত সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়। তারা বেশ কয়েকটি সুপারিশ করেছে। কমিটির সুপারিশ এবার ১৯ সদস্যের জাতীয় সিলেবাস অ্যান্ড টিচিং লার্নিং মেটেরিয়াল কমিটির কাছে পর্যালোচনার জন্য যাবে।
আরও পড়ুন: রয়াল বেঙ্গল টাইগার এশিয়ার সব টাইগারকে ছাপিয়ে যাবে, দাবি আম্বানির
স্কুলপাঠ্যে রামায়ণ-মহাভারত অন্তর্ভুক্ত করার গুরুত্ব বোঝাতে আইজ্যাক বলেন, সমাজ বিজ্ঞানের সিলেবাসে এই দুটি মহাকাব্য পড়ানোর উপর জোর দেওয়া হয়েছে। আমরা মনে করি, কিশোর বয়স থেকেই পড়ুয়াদের মধ্যে আত্মসম্মানবোধ, জাতীয়তাবোধ এবং নিজের দেশ ও জাতির প্রতি গর্ববোধ অনুভব করানোর প্রয়োজন রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, প্রতিবছর হাজার হাজার পড়ুয়া দেশ ছেড়ে চলে যান এবং তাঁরা ভিনদেশে নাগরিকত্বের আবেদন করেন। এর কারণ তাঁদের মধ্যে দেশের প্রতি মমত্ব ও জাতীয়তাবাদের অভাব থেকে যায়। সুতরাং, তাদের মধ্যে জাতির শিকড়, দেশ ও জাতির সংস্কৃতির প্রতি ভালোবাসা গড়ে তোলা জরুরি। তাঁর কথায়, কিছু শিক্ষা পর্ষদ রামায়ণ-মহাভারত পড়ালেও তাকে পৌরাণিক কাহিনি হিসেব পড়ায়। কিন্তু পৌরাণিক কাহিনি কেন, সেই শিক্ষার কোনও মূল্য নেই যেখানে খুদে বয়স থেকেই এই মহাকাব্য পড়ানো না হয়। দেশের জন্য এটা গুরুত্বপূর্ণ, বলেন আইজ্যাক।
ক্লাসের দেওয়ালে সংবিধানের প্রস্তাবনা লেখার সুপারিশ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমাদের সংবিধানের প্রস্তাবনা অত্যন্ত মহৎ। সামাজিক মূল্যবোধ, গণতন্ত্র এবং ধর্মনিরপেক্ষতার প্রতি শ্রদ্ধা গড়ে তুলতে সাহায্য করবে। তাই আমার ক্লাসের দেওয়ালে প্রস্তাবনা লেখার সুপারিশ করেছি, যাতে সবসময় তা পড়ুয়াদের নজরে আসে।
অন্য খবর দেখুন