নয়াদিল্লি: প্রধান বিচারপতির (CJI) কাছে আত্মহত্যার অনুমতি প্রার্থনা এক বিচারকের। উত্তরপ্রদেশের (UP) বান্দা জেলার বারা বড়াবাঁকির মহিলা বিচারক সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতিকে আপন নিগ্রহ এবং অসহায়তার উল্লেখ করে আত্মহত্যার অনুমতি (Permission) প্রার্থনা করেছেন।
আমি বিচারক হয়েও বিচার চেয়েছিলাম। মূল মামলা শোনাই হলো না। শুনানি পর্বের মেয়াদ মাত্র আট সেকেন্ড। অথচ মানুষকে বিচার দেওয়ার স্বার্থেই আমি বিচার ব্যবস্থায় যোগ দিয়েছিলাম। এখন আমি নিজে অবিচারের শিকার। আত্মহত্যা করা ছাড়া আমার গতি নেই। সেই অনুমতি দেওয়া হোক। প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়কে লিখেছেন অর্পিতা সাহু। ১৫ ডিসেম্বর তারিখ দেওয়া সেই চিঠি ওই বিচারকের বন্ধু-বান্ধব মারফত প্রকাশ্যে এসেছে।
আরও পড়ুন: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়কে সমাবর্তন করার অনুমতি দিল উচ্চশিক্ষা দফতর
কেউ শুনতেই চায় না। কারোর কিছু যায় আসে না। অভিযোগের ফল অত্যাচার। বক্তব্য পেশের সুযোগ তো থাকবে! বিশেষত সুপ্রিম কোর্টে। ৮ সেকেন্ডের শুনানি, অপমান এবং জরিমানার হুমকি। যদি তোমার ভাগ্য ভালো হয় (আমি ছাড়া), তোমার প্রথম প্রচেষ্টা সফল হতে পারে। সব মহিলাকে এমন ব্যবস্থার বিরুদ্ধে লড়তে হয়। আমি জানি। কিন্তু আমি পারলাম না। চিঠির বয়ানে ঝরে পড়েছে এমনই বেদনা।
সহকর্মীদের দ্বারা অত্যাচারিত। রাতের আমন্ত্রণে সাড়া না দেওয়ায়। ডিনারের পর। তারপর থেকে কেউ ভুল করলেই অত্যাচারের শিকার হয়ে যাচ্ছি। সেই সূত্রে বিচার চাওয়া। কিন্তু যেভাবে তা খারিজ হলো, তাতে আমার জীবন, সম্মান, আত্মাটাই খারিজ হয়ে গেল। আমার সামনে যখন কোনও আশা নেই, তখন অন্যকে আমি কীভাবে বিচার দেব? জীবনটাই অর্থহীন হয়ে গেল। সেই জীবন সম্মানজনকভাবে শেষ করার অনুমতি, খারিজ করার অনুমতি দেওয়া হোক। লিখেছেন ওই বিচারক।
আরও খবর দেখুন