কলকাতা: আগামীকাল, ৪ মার্চ দিল্লিতে (Delhi) নির্বাচন কমিশনে (Election) সব রাজ্যের সিইও (CEO) দের বৈঠক। এই রাজ্যের সিইও থাকবেন।
ইতিমধ্যেই ভোটার তালিকা (Voter List) নিয়ে শাসকদল তৃণমূল (Tmc) ও অপরদিকে বিজেপিরও (Bjp) ভোটার তালিকা নিয়ে অভিযোগ রয়েছে। সমস্ত কিছু নিয়ে রিপোর্ট চেয়েছে দিল্লির নির্বাচন কমিশন। সেই সমস্ত রিপোর্ট নিয়েই দিল্লিতে এই রাজ্যের সিইও।
ভোটার তালিকায় ‘ভুতুড়ে ভোটার’কে কেন্দ্র করে সরগরম রাজ্য রাজনীতি। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) তৃণমূলের কর্মিসভা থেকে ভোট রাজনীতিতে নৈরাজ্য নিয়ে সরব হয়েছেন। একটি তালিকা তুলে এনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, একই এপিক নম্বরে (Epic Number) পশ্চিমবঙ্গের (West Bengal) সঙ্গে অন্য রাজ্যেও ভোটার নথিভুক্ত রয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী দাবি করেন, পশ্চিমবঙ্গ, হরিয়ানা, গুজরাত, রাজস্থান ও পঞ্জাবে একই এপিক নাম্বারে ভোটার রয়েছে বলে দাবি করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
আরও পড়ুন: এপিক নাম্বার এক মানেই ভুয়ো ভোটার নয়, বিবৃতি দিল নির্বাচন কমিশন
এর পরেই ড্যামেজ কন্ট্রোলে নামে নির্বাচন কমিশন। রবিবার এক বিজ্ঞপ্তি জারি করে কমিশন দাবি করে, ডুপ্লিকেট ভোটার মানেই ভুয়ো ভোটার নয়। ইসি আরও জানিয়েছে EPIC নম্বর “অভিন্ন হতে পারে’ কিন্তু জনসংখ্যার বিবরণ, বিধানসভা কেন্দ্র এবং ভোটকেন্দ্র সহ অন্যান্য বিবরণগুলি আলাদা। নির্বাচন কমিশনের যুক্তি, স্থানীয়ভাবে একটা সময় ভোটার কার্ড তৈরি এবং বিলি করা হত।
তাই কিছু রাজ্যের ক্ষেত্রে এপিক কার্ডের নম্বর এক হয়ে থাকতে পারে। নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, একই এপিক কার্ড থাকা ভোটারদের ইউনিক এপিক নম্বর দেওয়ার জন্য তাঁরা কেন্দ্রীয় পোর্টাল আপডেট করছেন। প্রত্যেক ভোটার যাতে আলাদা নম্বরের এপিক পায় তা নির্বাচন কমিশন নিশ্চিত করবে।
দেখুন অন্য খবর: