ওয়েব ডেস্ক: অ্যাঞ্জেলিনা জোলির (Angelina Jolie) সিদ্ধান্তে চমকে উঠেছিল গোটা হলিউড সহ বিশ্বের অনুরাগীরা। ২০১৩ সালে ক্যানসারের ঝুঁকি এড়াতে ম্যাস্টেকটমি করিয়েছিলেন হলিউড অভিনেত্রী অ্যাঞ্জেলিনা জোলি। ১২ বছর পর আন্তর্জাতিক ফ্যাশন ম্যাগাজিনের কভারে প্রকাশ্যে আনলেন সেই অস্ত্রোপচারের ক্ষত। এই সাহসী সিদ্ধান্ত নিয়ে কী জানালেন অভিনেত্রী, শুনব
অ্যাঞ্জেলিনা জোলি নিজের কঠিন ও সাহসী সিদ্ধান্তের জন্য বিশ্বজুড়ে আলোচনায় উঠে এসেছিলেন। ক্যানসারের সম্ভাব্য ঝুঁকি থেকে নিজেকে রক্ষা করতে তিনি সচেতনভাবেই অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে দু’টি স্তন অপসারণের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। সেই খবর নিজেই প্রকাশ্যে এনেছিলেন অভিনেত্রী।অ্যাঞ্জেলিনার পরিবারে ক্যান্সারের ইতিহাস আছে। অভিনেত্রীর মা, মাসি এবং দিদা তিনজনেই ক্যান্সার আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছেন। অ্যাঞ্জেলিনা নিজের জিন পরীক্ষা করিয়েছিলেন। রিপোর্ট জানিয়েছিল, স্তন ক্যান্সারের আশঙ্কা রয়েছে প্রায় ৮৭ শতাংশ। তাই ২০১৩ সালের মে মাসে ম্যাস্টেকটমি করে বাদ দেন দু’টো স্তন-ই।অ্যাঞ্জেলিনার ডিম্বাশয়ের ক্যান্সারের ঝুঁকিও ছিল। তাই ম্যাস্টেকটমির ২ বছর পরে ডিম্বাশয়, ফ্যালোপিয়ান টিউবও অস্ত্রোপচার করিয়ে বাদ দিয়েছিলেন। সেটাও নিজেই জানিয়েছিলেন অভিনেত্রী।
আরও পড়ুন: বান্ধবীদের নিয়ে শ্রীলঙ্কায় রশ্মিকা! বিজয়ের সঙ্গে বিয়ে কি শীঘ্রই?

তারপর পেরিয়েছে একযুগ। আর ১২ বছর পর প্রথমবার প্রকাশ্যে আনলেন সেই অস্ত্রোপচারের ক্ষতচিহ্ন। সম্প্রতি একটি আন্তর্জাতিক ফ্যাশন ম্যাগাজিনের কভার পেজে দেখা গিয়েছে অ্যাঞ্জেলিনাকে। সেখানে কোনওভাবেই বুকের ক্ষত আড়াল করেননি তিনি। স্তন ক্যানসার নিয়ে সচেতনতা বাড়াতেই এই সাহসী সিদ্ধান্ত বলে জানিয়েছেন অভিনেত্রী। এ প্রসঙ্গে অ্যাঞ্জেলিনা জানিয়েছেন, এমন অনেকই আছেন, স্তন ক্যান্সারের কারণে যাঁদের স্তন বাদ দিতে হয়েছে। তাঁদের উদ্দেশেই তাঁর এই সিদ্ধান্ত।অ্যাঞ্জেলিনা বলেন, “আমি আমার জীবনের অনেক প্রিয় নারীর সঙ্গে এই ক্ষতগুলো ভাগ করে নিয়েছি। আর যখন অন্য নারীদের তাঁদের ক্ষত ভাগ করে নিতে দেখি, তখন সত্যিই আনন্দ পাই।”







