বানারহাট: আইসিডিএস সেন্টারের (ICDS Center) বেহাল অবস্থা। অভিযোগ, প্রাক প্রাথমিক শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে খুদে শিশুরা। বৃষ্টিতে যেকোনো মুহূর্তে হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়তে পারে ঘর। দীর্ঘদিন থেকে বেহাল অবস্থায় পড়ে থাকলেও নজর নেই প্রশাসনের। জরাজীর্ণ অবস্থা আগাছায় ভরে গিয়েছে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের চারপাশ। কোনও মতে শিশুদের খাবারের ব্যবস্থা করা হলেও। আতঙ্কে পঠনপাঠন চালানো সম্ভব হচ্ছে না বলেই অভিযোগ। বানারহাট ব্লকের সাঁকোয়াঝোরা -১ নং গ্রাম পঞ্চায়েতের ২৭৭ নং সেন্টারের ঘটনা।
ছোট ছোট শিশু ও তাঁর মায়েদের স্বাস্থ্যের কথা ভেবেই এই সব অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রগুলি তৈরি করা হয়। কিন্তু দিনের পর দিন রাজ্যের অঙ্গনওয়াড়ির কেন্দ্র গুলির বেহাল দশা ছবি উঠে এসেছে। আইসিডিএস সেন্টারের খাবারের মান নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। কখনও চাল চুরি অভিযোগ তো কখন খাবারের পরিমাণ কম। অনেক সময় দেখা গিয়েছে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে রান্না হচ্ছে, কখনও খোলা আকাশের নিচে চলছে পঠন-পাঠন, আবার কখনও খাবারে মিলছে টিকটিকি, পোকা। আইসিডিএস সেন্টারের বিরুদ্ধে ভুরি ভুরি অভিযোগ জমা পড়েছে। তাও হাল ফিরছে না আইসিডিএস সেন্টার গুলির। হুঁশ নেই প্রশাসনের।
আরও পড়ুন: বিস্ফোরণের পর এবার দুবরাজপুরে বোমা উদ্ধার
আইসিডিএস কর্মীদের দাবি , জায়গার অভাব ঘরের বেহাল অবস্থা টিনের চাল ফুটো হয়ে জল পড়ছে। দুটো ঘর খোলা যায় না। ঘরের দেওয়াল নড়বড়ে আতঙ্কে সেখানে থাকা যাচ্ছে না। অভিভাবকেরাও শিশুদেরকে পাঠাচ্ছেন না সেভাবে। জরাজীর্ণ অবস্থা হয়ে থাকাতেই পড়ানো যাচ্ছে না। যেহেতু শিশু খাদ্য বন্ধ করা যায় না, সে কারণেই কোন মতে খাবারের ব্যবস্থা করে সেই খাবার তুলে দেওয়া হচ্ছে অভিভাবকদের হাতে। ওই শিশুশিক্ষা কেন্দ্রের উপর নির্ভরশীল প্রায় ৭৫ জন শিশু। একসময় সকলেই পড়তে আসতো। তবে বেশ কয়েক বছর ধরেই বেহাল অবস্থা থাকার কারণে ঘর অভিভাবকেরা সেভাবে শিশুদের পাঠাচ্ছে না। দ্রুত ব্যবস্থা না না হলে যে কোন মুহূর্তে বড়সড় দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে। কারণ পুরো ঘর ড্যামেজ হয়ে গিয়েছে। বিভিন্ন জায়গায় চাঙর খসে পড়ছে। টিনের চাল ফুটো পাকা ছাদ নেই।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরেই শিশুশিক্ষা কেন্দ্রটি জরাজীর্ণ অবস্থায় পড়ে থাকলে প্রশাসনের কোন হেলদোল নেই। যেকোনও মুহূর্তে ঘরের দেওয়াল পড়ে গিয়ে বড়সড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। আতঙ্কে অনেকেই শিশুদের সেখানে পাঠাচ্ছে না। এলাকার পঞ্চায়েত সদস্য সাইরুল ইসলাম জানান, এই সমস্যা দীর্ঘদিনের । সমস্যার সমাধানের জন্য বিভিন্ন জায়গায় দরবার করা হয়েছে। প্রশাসন সমস্যার সমাধানের লক্ষে নতুন ঘর নির্মানের জন্যে টেন্ডার করে দিয়েছে। বরাত পাওয়া কাজের ঠিকাদারি সংস্থা কাজ করছে না বসে বসে সময় কাটাচ্ছেন তাই ভুক্তভোগী হচ্ছে খুদে শিশুরা। এবিষয়ে বানারহাটের বিডিও নিরঞ্জন বর্মনকে টেলিফোন করা হলে পরে তিনি জানান, বেশ কয়েকটি শিশু শিক্ষা কেন্দ্রের কাজ এরকম আটকে রয়েছে জমির সমস্যা রয়েছে। দ্রুত সেগুলো সমাধান করার চেষ্টা করা হচ্ছে।
অন্য খবর দেখুন