পুরুলিয়া: বাঁধনা (Bandhanafestival) ও সহরাই পরব (Sahrai festival) উপলক্ষে সেজে উঠেছে পুরুলিয়ার অযোধ্যা পাহাড় (Ayodhya hills a)। উৎসবমুখরিত পাহাড়ের গ্রামের প্রত্যেকটা বাড়ির দেওয়ালে রংয়ের প্রলেপ লাগাতে ব্যস্ত মহিলারা। গ্রামের বাসিন্দারা জানান,কালীপুজোর পরে একমাস ধরে চলে উৎসব। আদিবাসী সমাজ আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেয়, কবে কোথায় উৎসব হবে। মহিলাদের নিপুণ হাতের তুলির ছোঁয়াতে মাটির দেওয়াল যেন প্রাণ ফিরে পেয়েছে। এই পরব দেখতে ভিনরাজ্য থেকেও অনেকে ছুটে আসেব অযোধ্যা পাহাড়ে। পাহাড়ের বাসিন্দা অখিল সিং সর্দার , ধীরেন মুর্মু, লক্ষ্মীমণি মুর্মুরা বলেন, পাহাড়ে এই উৎসবের গুরুত্বই আলাদা। তাছাড়া পর্যটকদের কাছেও এটা একটা বাড়তি আকর্ষণ।
শাল-পিয়ালের বনে এখন ধামসা-মাদল সুরে খুশির ছন্দে ভাসছে৷ প্রতি বছর কার্তিক মাসের অমাবস্যা তিথিতে কালীপুজোর দিন থেকেই শুরু হয়ে যায় রাঢ় বঙ্গের আদিবাসী এই পরবের প্রস্ত্ততি৷ আদিবাসীদের গাঁয়ের মোড়লের নির্দেশ মতোই সহরাই উত্সব কোথাও চলে এক মাস, কোথাও তিন দিন, আবার কোথাও পাঁচ দিন ধরে চলে। উত্সবের আগে মাটির ঘরের দেওয়াল রঙের প্রলেপ দিয়ে রাঙিয়ে তুলে আলপনা দেন গাঁয়ের মহিলারা৷ সহরাই মূলত গো-বন্দনা৷ আরেক নাম বাঁধনা পরব৷
আরও পড়ুন: চন্দনপিড়ির নদী ঘাট ঢেকেছে পলিতে, দুর্ভোগে গ্রামবাসীরা
বাঁদনা ও সহরাই পরব উপলক্ষ্যে নবরুপে সেজে উঠেছে পুরুলিয়ার অরণ্যসুন্দরী। মহিলাদের নিপুন হাতের তুলির ছোঁয়াতে মাটির দেওয়াল যেন প্রাণ ফিরে পেয়েছে বলে জানাচ্ছেন পাহাড়ের বাসিন্দারা । তেলিয়াভাসা গ্রামে গিয়ে দেখা গেল,দেওয়ালে দেওয়ালে ফুটে উঠেছে বাহারি সব কোলাজ তাদের হাতে কাটা রং বাহারি নকশা দেখতে ভিড় জমছে পর্যটকদের। আদিবাসী পুরুষরা গোরু-মোষের সেবাযত্ন করেন৷ রীতি মেনে গোয়ালঘর পরিষ্কার করে গোরু-মোষের শিংয়ে তেল লাগানো হয়৷ গোরু-মোষের গলায় মালা, শরীরে নানা রঙের ছাপ দিয়ে শিংয়ে ধানশিষের গোছা পরিয়ে বরণ করা হয়৷ জমিতে খেটে চলা গবাদি পশুগুলি এই সময় বিশ্রাম পায়৷ অমাবস্যা থেকেই প্রতিটি আদিবাসী ঘরে গোরু-বলদকে গোয়ালঘরে বেঁধে পুজো করা হয়৷
আরও অন্য খবর দেখুন