লখনউ: নৃশংসতার চরম সীমায় সমাজ! যেখানে আজ ভারত মহাকাশ থেকে প্রতিরক্ষা, পর্যটন থেকে স্বাস্থ্যব্যবস্থায় মাইলফলক ছুঁয়েছে বলে প্রধানমন্ত্রী দাবি করছেন, সেখানে এই সমাজেই অপর এক ‘পৃথিবী’ বিরাজ করছে। যেখানে রয়েছে মানুষে মানুষে জাতপাত থেকে উচ্চবিত্ত ও নিম্নবিত্তের মধ্যে বিভাজন করা।
এতটাই বর্বরোচিত ঘটনা যার জন্য আজ এক দলিত বালককে বেছে নিতে হল আত্মহত্যার মতো পথ। কি অপরাধ ছিল তাঁর? হ্যাঁ বালকটি ছিল দলিত। সভ্য সমাজ তার জায়গা করে দিতে পারেনি।
উত্তরপ্রদেশের (Uttarpradesh) একটি গ্রামে এক দলিত বালককে জন্মদিনে (Birthday Party) নিমন্ত্রণ করে এনে চরম হেনস্থার (Harassment) অভিযোগ। এমনকি তাঁকে নগ্ন করে মারধর করা হয় বলে জানা গেছে। চরম অপমান শিশু মন মেনে পারেনি। বাড়িতে ফিরে এসেই আত্মঘাতী হয় সে। পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে।
সার্কেল অফিসার(সিও) প্রদীপ কুমা ত্রিপাঠি (Circle Officer (CO) Pradeep Kumar Tripathi) জানিয়েছেন, মৃত বালকের নাম আদিত্য (Aditya)। ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়েছে। কাপতানগঞ্জ থানায় (PS Kaptanganj) অভিযোগ দায়ের হয়েছে। সংশ্লিষ্ট ধারায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
আরও পড়ুন-‘গত দেড় বছরে প্রায় ১০ লক্ষ স্থায়ী সরকারি চাকরি হয়েছে’, দাবি মোদির
আদিত্যের পরিবার জানিয়েছে, মৃত্যুর আগে তাদের ছেলেকে হেনস্থা করা হয়েছে। মৃতের কাকা বিজয় কুমার জানিয়েছেন, তাঁকে জন্মদিনে নিমন্ত্রণ করা হয়েছিল। সেখানে তাঁকে হেনস্থা করা হয়েছিল। তাঁকে নগ্ন করে মারধর করা হয়। তাঁর গায়ে প্রস্রাব করে দেওয়া হয়।
আদিত্যকে নিমন্ত্রণ করে অপমান করা পূর্ব পরিকল্পিত ছিল জানি না। আমরা পুলিশে অভিযোগ দায়ের করতে গেলে আমাদের অভিযোগ নেওয়া হয়নি। ২০ ডিসেম্বর আদিত্যকে হেনস্থা করা হয়। আমরা তার পরের দিন জানতে পারি। আদিত্য গভীর রাতে বাড়িতে এসে পরের দিন সকালে সব আমাদের জানায়। তিনদিন ধরে আমরা অভিযোগ দায়ের করার চেষ্টা চালিয়েছি। কিন্তু নথিভুক্ত করা হয়নি। ফের আদিত্যকে হেনস্থা করা হয়। তার পরেই আত্মহত্যা করে।
দেখুন অন্য খবর-