দুর্গাপুর: দুর্গাপুরে গরু-কাণ্ডে গ্রেফতার মূল অভিযুক্ত। ধানবাদ (Dhanbad) থেকে গ্রেফতার বিজেপি নেতা পারিজাত গঙ্গোপাধ্যায়। ধৃতকে দুর্গাপুর মহকুমা আদালতে (Durgapur Sub-Divisional Court) পেশ করা হবে।
উল্লেখ্য, গত ৩১ জুলাই বাঁকুড়ার আসুরিয়া হাট থেকে গরু কিনে বেশ কয়েকজন মানুষ একটি ম্যাটাডর ভ্যানে করে ফিরছিলেন। তাঁরা দুর্গাপুর কোক ওভেন থানা (Coke Oven Police Station) এলাকার গ্যাবন ব্রিজ মোড়ে পৌঁছতেই বিজেপি যুব নেতা পারিজাত ও বিজেপির আরও কয়েকজন কর্মী সমর্থক তাঁদের গাড়ি আটকে দেয়। তাদের তরফে অভিযোগ তোলা হয় যে, ওই ভ্যানে করে গরু পাচার হচ্ছে। গরুর বৈধ কাগজ পত্র দেখতে চায় তারা। এমনকি ভ্যানে থাকা মানুষদের হাত পা বেঁধে মারধর, ওঠবস করানো সহ নানান ভাবে তারা তাঁদের উপর শারীরিক ও মানসিক অত্যাচার চালায়। প্রায় ২ ঘন্টা ধরে এই অমানবিক অত্যাচার চালায় তারা।
আরও পড়ুন: উত্তর দিনাজপুরের দলীয় নেতৃত্বদের নিয়ে বৈঠক, কড়া বার্তা অভিষেকের
এরপরই এই ঘটনা স্থানীয়দের নজরে আসতেই হুলুস্থুল পড়ে যায় এলাকায়। পরবর্তীতে পুলিশ পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। ওইদিন বিকেলেই জেলা সভাপতি নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী কোক ওভেন থানায় অভিযোগ জানান, যে যারা এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত তাঁদের অবিলম্বে গ্রেফতার করতে হবে। তারপরেই পুলিশের পক্ষ থেকে গ্রেফতারির প্রক্রিয়া শুরু হয়। গতকাল রবিবার পর্যন্ত ৯ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
সূত্রের খবর, তবে ঘটনার মূল মাথা বিজেপির যুব নেতা পারিজাত গঙ্গোপাধ্যায়কে ধরতে রীতিমতো বেগ পেতে হয় পুলিশকে। এতদিন তার নাগাল পাচ্ছিল না পুলিশ। তবে আজ সোমবার ভোর রাতে তাকে ধানবাদ থেকে গ্রেফতার করা হয়। ধৃতকে দুর্গাপুর আদালতের কোর্ট লকআপে রাখা হয়েছে। আজ সোমবার তাকে দুর্গাপুর মহকুমা আদালতে পেশ করা হবে। পুলিশ তাকে নিজেদের হেফাজতে নিতে আদালতে আবেদন করবে বলে জানা গিয়েছে।
অন্যদিকে, যুব নেতার এহেন কার্যকলাপে বিজেপির অন্দরে ফের একবার অস্বস্তি তৈরি হয়েছে। এদিন এ বিষয়ে দুর্গাপুর পশ্চিমের বিজেপি বিধায়ক লক্ষণ ঘড়ুই জানান, পারিজাত গাঙ্গুলী নিজের দোষ স্বীকার করেছে। পুলিশ গোয়েন্দা দফতর সবাই অপদার্থ। আমি আগেও বলেছি যে এই ঘটনা ঘটিয়েছে সে অন্যায় করেছে। পুলিশ পুলিশের কাজ করবে। আইন আইনের পথে চলবে। কিন্তু গ্রেফতারের নামে বিজেপি কর্মীদের যেভাবে হেনস্তা করা হয়েছে, গাজা ও অন্যান্য নেশার দ্রব্যের অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে, মাঝরাতে বাড়িতে ঢুকে যেভাবে পুলিশ অত্যাচার করেছে এই ঘটনা নিন্দনীয়। তৃণমূল পরিচালিত করছে পুলিশকে। বিধানসভা ভোটের আগে ওরা ভয় পেয়েছে।
দেখুন অন্য খবর