জয়পুর: বিনা যুদ্ধে নাহি দিব…। কর্নাটকে (Karnataka) হারের বদলা নিতে রাজস্থানে (Rajasthan) মাটি কামড়ে বিধানসভা ভোটে (Assembly Election) নেমে পড়েছে বিজেপি (BJP)। কংগ্রেসের (Congress) হাত থেকে রাজপুত রাজ্য ছিনিয়ে আনতে রাতভর বৈঠক করলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah) এবং সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা (JP Nadda)। জয়পুরের (Jaipur) একটি হোটেলে বুধবার রাতে আলোচনা শুরু হয়। শেষ হয় রাত প্রায় ২টো নাগাদ। আসন্ন ভোটে দলের রণকৌশল রূপায়ণেই এই বৈঠক বলে দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে। রাজ্যে জেতা কঠিন এমন আসনে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী এবং সাংসদদের দাঁড় করানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
মধ্যপ্রদেশের ক্ষেত্রেও নরেন্দ্র মোদির এমনই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সেখানে দ্বিতীয় প্রার্থী তালিকায় তিন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী এবং চারজন সাংসদকে প্রার্থী করার কথা ঘোষণা করেছে পদ্ম শিবির। রাজস্থান বিজেপির সূত্রে জানা গিয়েছে, কেন্দ্রীয় জলশক্তি মন্ত্রী গজেন্দ্র সিং শেখাওয়াতকে বিধানসভায় প্রার্থী করা হবে। সেই সঙ্গে আরও কয়েকজন সাংসদকে নিয়ে আসা হবে ভোটের প্রার্থী করে।
আরও পড়ুন: তৃণমূলের দিল্লি যাওয়ার প্রস্তুতি শুরু, কাল কলকাতায় জড়ো হবেন গ্রাম বাংলার শ্রমিকরা
সব থেকে উল্লেখযোগ্য একটি বিষয়টি নিয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে। এবারে মুখ্যমন্ত্রী মুখ হিসেবে কাউকে খাড়া করা হচ্ছে না। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বসুন্ধরা রাজেকে নিয়ে বিজেপি এমনিতেই অস্বস্তিতে। বসুন্ধরার সাবেক মন্ত্রিসভার দুর্নীতি নিয়ে কংগ্রেস নেতা রাজেশ পাইলট দীর্ঘদিন ধরেই খড়্গহস্ত। রাজ্য জুড়ে তিনি সেই প্রচার করেছেন। তাই সম্মিলিত নেতৃত্বকে সামনে রেখে ভোটে যেতে চাইছে দল। কংগ্রেসকে একটি দ্বিধায় রেখে চলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
এর কারণ হচ্ছে, রাজ্য রাজনীতিতে যাতে সকলেই মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার দৌড়ে ঝাঁপিয়ে পড়েন। যদি অভ্যন্তরীণ কোন্দল ফল্গুর মতো থেকে থাকে, তাহলে তা বেরিয়ে আসবে। সর্বতো দল ব্যক্তির ঊর্ধ্বে, এটা বোঝানো সহজ হবে। তবে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের কাছে মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার দৌড়ে সামনের সারিতে রয়েছেন, গজেন্দ্র সিং শেখাওয়াত, রাজ্যসভার সদস্য কিরোডিলাল মিনা এবং লোকসভা এমপি দিয়া কুমার, রাজ্যবর্ধন রাঠোর এবং সুখবীর সিং জৌনপুরিয়া। তবে দুবারের মুখ্যমন্ত্রী, ৭০ বর্ষীয়া বসুন্ধরা রাজে আর ফিরছেন না, এটা মোটামুটি নিশ্চিত। সিন্ধিয়া রাজ পরিবারের কন্যা হলেও স্বচ্ছতা বজায় রাখতে তাঁকে ছেঁটে ফেলেই মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সির কথা ভাবনাচিন্তা করছে বিজেপি। যদিও ইদানীং বসুন্ধরাকে দলের শীর্ষ নেতৃত্ব এবং প্রভাবশালী নেতাদের সঙ্গে ঘোরাফেরা করতে দেখা যাচ্ছে।
দেখুন আরও অন্য় খবর: