কলকাতা: কেন্দ্রীয় সরকার বাংলাকে ভাতে মারার চক্রান্ত করছে বলে ফের অভিযোগ তুললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। বৃহস্পতিবার রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠকে (Cabinet meeting) তিনি বলেন, ওরা একশো দিনের কাজের টাকা দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ করে রেখেছে। এই টাকা ওদের দিতেই হবে। না দিলে আগামিদিনে আরও বড় আন্দোলন হবে। বাংলাকে নিয়ে কেউ যেন চক্রান্ত না করতে পারে, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। মমতা বলেন, আশা করব, বাংলার মানুষ এই চক্রান্ত রুখে দেবে।
এদিন মুখ্যমন্ত্রীর কালীঘাটের বাড়িতে বসে মন্ত্রিসভার বৈঠক। স্পেনে থাকার সময় তাঁর পায়ে চোট লাগে। কলকাতায় ফিরেই মমতা এসএসকেএম হাসপাতালে যান। সূত্রের খবর, তাঁর হাঁটুতে জল জমে গিয়েছিল। তা প্রক্রিয়ার মাধ্যমে বার করা হয়। চিকিতসকরা মুখ্যমন্ত্রীকে দশদিনের জন্য বিশ্রাম নেওয়ার পরামর্শ দেন। দশদিন কেটে গেলেও এখনও তিনি বাড়িতেই চিকিতসাধীন আছেন। সেই কারণে মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতেই বসে মন্ত্রিসভার বৈঠক। বৈঠকের পর তিনি ভার্চুয়ালি পুজোর উদ্বোধন করেন। একদিনে কলকাতা এবং অন্য সব জেলা মিলিয়ে ৭৮৮টি পুজোর উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী। পুজোর উদ্বোধনী ভাষণে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, পায়ে চোট আছে, ইনফেকশন আছে। তাই কোথাও যেতে পারলাম না। ডাক্তারদের নির্দেশমতো বাড়িতেই আছি। কিন্তু মন আপনাদের সঙ্গেই আছে।
আরও পড়ুন: উপাচার্য নিয়োগ, বৈঠক চেয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি রাজ্যপালের
সূত্র্রের খবর, মন্ত্রিসভার বৈঠকে এদিন কামদুনি প্রসঙ্গও ওঠে। বৈঠকে কামদুনি নিয়ে কথা বলতে চান আইনমন্ত্রী মলয় ঘটক। মুখ্যমন্ত্রী তাঁকে থামিয়ে দিয়ে বলেন, আমি জানি, কী হয়েছে। আমি দেখছি। সেই সময় তাঁর চোখেমুখে বিরক্তি ছিল বলে বৈঠকে হাজির থাকা কোনও কোনও মন্ত্রী জানিয়েছেন।
অভিযোগ উঠেছে, রাজ্য সরকারের গাফিলতির কারণেই হাইকোর্টে নিম্ন আদালতের সাজার নির্দেশ পাল্টে গিয়েছে। হাইকোর্ট তার রায়ে পুলিশ এবং সিআইডির তদন্তের গাফিলতির দিকেই আঙুল তুলেছে। হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে যায় রাজ্য সরকার। কিন্তু হাইকোর্টের রায় বিবেচনার আর্জি খারিজ করে দিয়েছে শীর্ষ আদালত। তাতেও মুখ পুড়েছে রাজ্য সরকারের। কামদুনির নির্যাতিতার পরিবার এবং গ্রামের প্রতিবাদীরা রাজ্য সরকারের উপরেই ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন। তাঁরা সুপ্রিম কোর্টে দ্বারস্থ হচ্ছেন। বুধবারই নয়জনের এক প্রতিনিধিদল দিল্লি গিয়েছে। তাঁরা আইনজীবী বাঁশুরী স্বরাজের সঙ্গে কথা বলেন।
আরও অন্য খবর দেখুন