ওয়েবডেস্ক: বধূ নির্যাতনের (Bride Abuse) মামলায় প্রথম দুই মাসে কোনও গ্রেফতারি নয়। এলাহাবাদ হাইকোর্টের (Allahabad High Court) নির্দেশকে পুনরুজ্জীবন দিয়ে নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court)।
বিবাহ সম্পর্কিত নিষ্ঠুরতার মামলা হলে প্রথম দুই মাসে পুলিশ কোনও অভিযুক্তকে গ্রেফতার করবে না। ২০২২ সালে এলাহাবাদ হাইকোর্টের দেওয়া এই গাইডলাইন কার্যকর করার নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের। গাইডলাইন অনুযায়ী বধূ নির্যাতনের মামলা হলে বিষয়টি জেলার পরিবার কল্যাণ কমিটির (District family welfare committee) কাছে পাঠাতে হবে।
প্রসঙ্গত, ২০১৭ সালে রাজেশ শর্মা ও অন্যান্য বনাম উত্তর প্রদেশ সরকার ও অন্যান্যদের মামলায় সুপ্রিম কোর্ট প্রথম এমন গাইডলাইন দেয়। তার ভিত্তিতে এলাহাবাদ হাইকোর্ট ২০২২ সালে ওই নির্দেশ দিয়েছিল। কিন্তু ২০১৮ সালে সুপ্রিম কোর্ট নিজেই সোশ্যাল অ্যাকশন ফোরাম ফর মানব অধিকার বনাম ভারত সরকারের মামলায় সেই নির্দেশ প্রত্যাহার করে নেয়। কিন্তু আবারও সুপ্রিম কোর্ট দ্বারা সেই গাইডলাইনকে কার্যকর করার নির্দেশ।
গাইডলাইন অনুযায়ী ভারতীয় ফৌজদারি আইনের ৪৯৮-ক ধারা অনুযায়ী অভিযোগ বা এফআইআর হলে তখনই অভিযুক্তদের গ্রেফতার করা যাবে না। তখনই বিষয়টি জেলার পরিবার কল্যাণ কমিটির কাছে পাঠাতে হবে।
৪৯৮ ক ধারার সঙ্গে আঘাত জনিত বা ৩০৭ ধারায় অভিযোগ যদি না থাকে, তবেই সেটি কমিটির কাছে পাঠাতে হবে। যেখানে ১০ বছরের কম সাজা হতে পারে, সেই অভিযোগ কমিটির কাছে যাবে।
ভৌগোলিক আয়তন এবং জনসংখ্যার ভিত্তিতে প্রতিটি জেলায় কমপক্ষে এক বা একাধিক এমন কমিটি থাকতে হবে। যে কমিটিতে ন্যূনতম তিন সদস্য থাকবেন। কমিটির কাজকর্ম নির্দিষ্ট সময় অন্তর পর্যালোচনা করবেন জেলা দায়রা অথবা পারিবারিক আদালতের প্রিন্সিপাল বিচারক। জেলার লিগাল সার্ভিস অথরিটি চেয়ারপারসন হিসেবে থাকবেন পারিবারিক আদালতের বিচারক।
কমিটিতে কাদের রাখা যাবে, সেই সম্পর্কেও গাইডলাইনের স্পষ্ট উল্লেখ আছে। ম্যাজিস্ট্রেটের কাছ থেকে সম্পর্কিত অভিযোগ পেয়ে কমিটিকে দ্রুত অভিযুক্ত দুই পক্ষসহ সম্পর্কিত পরিবারের অন্তত চার জন বর্ষীয়ান সদস্যকে ডেকে আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা সমাধানের প্রচেষ্টা চালাতে হবে।
কমিটির রিপোর্ট খতিয়ে দেখে পদক্ষেপ করবেন ম্যাজিস্ট্রেট এবং তদন্তকারী অফিসার।
উল্লেখ্য, স্ত্রীর অভিযোগের ভিত্তিতে ১০৯ দিন কারাবাসী স্বামী ও ১০৩ দিন কারান্তরালে থাকা শ্বশুরের মামলায় আদালতের এমন নির্দেশ। বিচার শেষে স্ত্রী এবং তাঁর পরিবারকে সংবাদপত্রে বিজ্ঞাপন দিয়ে নিঃশর্ত ক্ষমাপ্রার্থনার নির্দেশ আদালতের।
একই ক্ষমা প্রার্থনা প্রকাশ করার নির্দেশ ইনস্টাগ্রাম, ইউটিউব ও অন্যান্য একই রকম প্লাটফর্মে। এমন নির্দেশ সহ বিবাহ বিচ্ছেদ অনুমোদন।
দেখুন আরও খবর-