বীরভূম: মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ অনুব্রত মন্ডলের। আগামীকাল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বোলপুরে মিছিল করবেন । তার আগে রবিবারই বোলপুরে পোঁছে গেলেন মুখ্যমন্ত্রী। তার কিছুক্ষন পরই বোলপুরের রাঙাবিতান গেস্ট হাউসে যান বীরভূমের বাঘ তথা তৃণমূল নেতা অনুব্রত মন্ডল।
বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলিতে বাংলাভাষীদের উপরে যেভাবে হেনস্থা করা হচ্ছে, তারই প্রতিবাদে সোমবার বোলপুরে মিছিল করবেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রবিবার রাতেই তিনি পৌঁছে যান বীরভূমে। এ দিন সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা নাগাদ বল্লভপুরে রাঙাবিতান গেস্ট হাউজে পৌঁছে যান তিনি। তার কিছুক্ষণ পরেই গাড়ি নিয়ে রাঙাবিতানে প্রবেশ করেন বীরভূমের তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডল। তবে তিনি একা নন, বোলপুরের বিধায়ক তথা রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহা থেকে শুরু করে বীরভূমে দলের কোর কমিটির সদস্য সুদীপ্ত ঘোষও রাঙাবিতানে প্রবেশ করেন।
আরও পড়ুন: ‘সাংঘাতিক সন্ত্রাস!’, ভিডিও শেয়ার করে ক্ষোভ প্রকাশ মমতার
দলনেত্রীর সঙ্গে কী কথা বললেন তৃণমূল নেতা? তৃণমূল নেতাকে সাংবাদিকরা প্রশ্ন কলেও, তা এড়িয়ে কার্যত সটান বেরিয়ে যান অনুব্রত। যদিও মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহা বলেন, মুখোমুখি কথা হয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অনুব্রতর। <span;>সূত্রের খবর, এ দিন মুখ্যমন্ত্রীর হাতে অনুব্রত মণ্ডল বীরভূমের মুড়ি, চপ এবং পেঁয়াজি তুলে দিয়েছেন।
সম্প্রতি বোলপুরের আইসিকে ফোনে কুকথা বলার ঘটনায় দলও নিন্দা করেছিল। হাইকমান্ড যে এই ঘটনায় অসন্তুষ্ট, তা বোঝার পরে ক্ষমাও চেয়েছিলেন অনুব্রত। এ দিকে বীরভূমে তাঁর সঙ্গে কাজল শেখের সম্পর্ক কারও অজানা নয়। ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বর মাসে অনুব্রত মণ্ডল সংশোধনাগার থেকে বীরভূমে ফিরে আসার পরে পুরোনো ফর্মে ফেরার চেষ্টা করেন। যদিও, বীরভূম জেলার সভাপতি পদটিই সরিয়ে দেয় দল। পরিবর্তে গড়ে দেওয়া হয় কোর কমিটি। তার সদস্য অনুব্রত-কাজল দু’জনেই। সার্বিক প্রেক্ষাপটে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বীরভূম থেকে দলকে কী বার্তা দেন, সেই দিকে নজর রয়েছে রাজনৈতিক মহলের।
দেখুন খবর: