কলকাতা: মঙ্গলবার একগুচ্ছ প্রকল্পের উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বীরভূমের ইলামবাজারে এক প্রশাসনিক সভায় যোগ দিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখান থেকেই সেতুর ভার্চুয়ালি উদ্বোধন করেন তিনি। এই সেতুর ফলে বীরভূম থেকে পশ্চিম বর্ধমানে যাতায়াত করা আরও সহজ হবে বলে মনে করছেন প্রশাসনিক কর্তারা। উদ্বোধনের পর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “অজয় নদের উপর যে সেতু গড়ে উঠেছে সেই সেতুর নাম জয়দেব সেতু করা হোক। এই সেতু হওয়ায় উপকৃত হবেন বহু মানুষ। জয়দেবের মেলায় আসতেও মানুষের সুবিধা হবে।” এদিনই এই সেতু দিয়ে চালু হল দক্ষিণবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ নিগমের দুর্গাপুর-সিউড়ি রুটের বাস।
এতদিন বর্ষাকালে অজয় নদ পার করতে গেলে ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছে সাধারণ মানুষকে। কিন্তু এবার সেই সমস্যার অনেকটাই সমাধান হবে বলে মনে করছেন জেলার একাংশ। এই সেতুর মাধ্যমে দক্ষিণবঙ্গ থেকে উত্তরবঙ্গে যাতায়াত অনেক সহজ হবে। সূত্রের খবর, প্রায় ১৩৮ কোটি টাকা খরচ হয়েছে। মঙ্গলবার বীরভূমের এক প্রশাসনিক সভা থেকে ভার্চুয়ালি সেতুর উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানটি দেখানোর জন্য শিবপুরে এলইডি স্ক্রিন লাগানও হয়। সেখানে উপস্থিত ছিলেন মহকুমা শাসক সৌরভ চট্টোপাধ্যায়, দুর্গাপুর পুরসভার চেয়ারপার্সন অনিন্দিতা মুখোপাধ্যায়, এডিডিএর চেয়ারম্যান কবি দত্ত-সহ অনান্য অতিথিরা।
আরও পড়ুন: রাজ্যে প্রথম জলাধারভিত্তিক তাপবিদ্যুৎ প্রকল্পের উদ্বোধনে মুখ্যমন্ত্রী
২০২৬-র বিধানসভা নির্বাচনের আগে একগুচ্ছ প্রকল্পের উদ্বোধন করলেন মুখ্যমন্ত্রী। রাজ্যে প্রথম বক্রেশ্বরে জলাধারভিত্তিক তাপবিদ্যুৎ প্রকল্পের উদ্বোধন করা হল। শুধু তাই নয়, এদিন পানীয় জলের ‘জলস্বপ্ন’ প্রকল্প নিয়ে কেন্দ্রের উদ্দেশে কড়া ভাষায় সরব হন মুখ্যমন্ত্রী। লদহে পাঁচটি নতুন সেতু, সিউড়ি জেলা হাসপাতালে হাইব্রিড সিসিইউ, বসিরহাটে ডায়ালিসিস ইউনিট, ডায়মন্ড হারবারে লালপোল সেতু-সহ একাধিক প্রকল্পের উদ্বোধন করেন এদিন।
দেখুন আরও খবর